২০১৯-এ বিজেপি ফিনিশ হয়নি, ভোটবাক্সে এবার কতটা দাগ কাটবে তৃণমূলের ব্রিগেড?

২০১৯-এ বিজেপি ফিনিশ হয়নি, ভোটবাক্সে এবার কতটা দাগ কাটবে তৃণমূলের ব্রিগেড?

নিজস্ব প্রতিনিধি: দু হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ! পাঁচ বছর আগে জানুয়ারি মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল যে ব্রিগেড সমাবেশে ডাক দিয়েছিল সেখানে এই স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই ব্রিগেডে দেশের বিরোধী দলগুলির তামাম নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেবার বিজেপিকে থামানো তো দূরের কথা, তারা সেবার ৩০০ আসনের গণ্ডি একাই পেরিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে হয়ে গিয়েছিল ২২। সেখানে বিজেপি পৌঁছে গিয়েছিল ১৮ আসনে। ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তারা। এবারেও লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন’ সভা। কিন্তু একই ভাবে প্রশ্ন উঠছে, এই ব্রিগেডের পর বিজেপিকে কী থামানো যাবে? তৃণমূল পারবে বিজেপির জয়যাত্রা রুখে দিতে? পশ্চিমবঙ্গে  বিজেপিকে রুখে দিতে পারবে তৃণমূল?

একাধিক ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষা দাবি করেছে বিজেপি  গতবারের ফলাফল ধরে রাখতে তো পারবেই, এমনকী তাদের  আসন সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে গতবারের চেয়ে আরও বাড়তে পারে। সেই জায়গা থেকে তৃণমূল কী পারবে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেক কমিয়ে দিয়ে তাদের মনোবলে ধাক্কা দিতে? এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে। তাই লোকসভায় ভাল ফলাফল করে এখন থেকেই তাদের ধাক্কা দিতে চায় তৃণমূল। 

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল হলেও পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের জোট হচ্ছে না সেটা বলাই যায়। তাই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে থামানোর দায়িত্ব মূলত তৃণমূলকেই নিতে হচ্ছে। বিগত দিনে একাধিক লোকসভা বা বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করেছে বিজেপিকে। পঞ্চায়েত এবং একশোর বেশি পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত থেকেছে। কিন্তু সেই নির্বাচনের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও তুলনা চলে না। এই লোকসভা নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করে দেবে। পাঁচ বছর দিল্লি শাসন কোন দল করবে তা ঠিক করে দেবে এই নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের পাশাপাশি বাইরেও সমান জনপ্রিয়। এই নির্বাচন মোদির নামে হবে। সেটাই বিজেপির প্রধান এবং একমাত্র ‘ইউএসপি’। তাই তারা অন্যদের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে রয়েছে। সবমিলিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে বিরোধীরা। এই আবহের মধ্যে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে জোড় চর্চা চলছে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। এর ফল ভোটবাক্সে পড়ে কিনা সেটা সময়ই বলবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *