আজ বিকেল: গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু তার পরের চারটি বছর লাগাতার পরিশ্রম করে গিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কখনও সারদা, কখনও নারদ ইস্যুকে সামনে রেখে মমতাকে আক্রমণ। মদনকে তুলোধনা। অভিষেককে খোঁচা।
কিন্তু প্রগলভতার কারণে বাংলার সর্বজনীন ঘণ্টায় পরিণতও হয়েছিলেন সেই তিনিই। যেখানে যেতেন লাগামহীন মন্তব্য করে মানুষের বিরাগভাজন হতেন। পাহাড়ে তো মারধরও খেতে হয় তাঁকে। সেখানে তিনি তাড়া খাওয়া দিলীপ নামেই সমধিক পরিচিত। বাংলায় বিজেপির উত্থানের সঙ্গেসঙ্গেই বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গাঙ্গুলি, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি নেত্রীর আগমণ। গেরুয়া রাজনীতর প্রেক্ষাপটকে অনেকটাই বিস্তৃত করেছে। বছর দেড়েক আগে আসানসোলের রায়ট সেই প্রেক্ষাপটকে নতুন মাত্রা দেয়।
বাংলায় বিজেপির বিস্তারের সঙ্গসঙ্গে প্রান্তিক এলাকায় রায়, হিংসা ছড়ানোর ঘটনা অহরহ ঘটছে। সঙ্গে গুজব তো আছেই। ধরুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এবার যে তৃণমূলের ভোটব্যাংক কমবে তা একেবারে নিশ্চিত, কিন্তু বিজেপির লভ্যংশ ঠিক কতটা ছোঁবে তা স্পষ্ট নয়। সিপিএম ও কংগ্রেস আদৌ তৃণমূলের সঙ্গে গিয়ে জোট সরকারের দল ভারী করবে কি না তা সময় বলবে। তবে লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর বাংলায় নিয়ন্ত্রক দল কে বিজেপি না তৃণমূল, সিপিএম কংগ্রেসই বা কার দিকে যাবে? বাংলায় কটি আসন পেতে পারে তৃণমূল, বিজেপি, বাম, কংগ্রেস? জানান আপনার মতামত৷ আপনার মতামতের ভিত্তিতে খবর প্রকাশিত হবে AajBikel.com-এ৷