কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরাও বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সিপিএমের ঝুলিতে ত্রাণ রেখেছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সভায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার, পার্টির রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর যে বিবৃতি উঠে এসেছে, সেখানে তা জানান হয়েছে, ‘‘হাসপাতালে অসুস্থ মানুষকে নিয়ে যাওয়া, রক্তদান, বয়স্ক মানুষকে সাহায্য করার কাজ করেছেন বামপন্থী কর্মীরা৷ সাধারণ মানুষ সাহায্য দিতে এগিয়ে এসেছেন৷’’
কোথাও জনগণের রান্নাঘর, কোথাও কমিউনিটি কিচেন, কোথাও বিনামূল্যে সবজি বিলি করা হয়েছে। দেখা গেছে, অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বামপন্থীদের এই কাজে সাহায্য করেছেন। কোথাও কোথাও তৃণমূলের সমর্থকরাও বামপন্থীদেরই হাতে সাহায্য তুলে দিয়েছেন। অসংখ্য তরুণ স্বেচ্ছায় এই কাজ করেছেন দিনরাত। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাতেও বামপন্থী কর্মীরা ত্রাণ নিয়ে পৌঁছেছেন। পুনর্গঠনের কাজে মানুষকে সাহায্য করেছেন।
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে এই রাজ্যে বামপন্থীরা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যতম বিরোধী বিজেপিকে দায়ী করেছে, “পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিজেপি-ও এই কাজে শরিক। অন্যদিকে, লকডাউনে গরিব মানুষের অবস্থা শোচনীয়। রাজ্য সরকার নিষ্ক্রিয় থেকেছে। রেশনে যেটুকু খাদ্যশস্য গেছে, তা থেকেও শাসক দল চুরি করেছে। বহু জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলের নেতাদের এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কোথাও কোথাও তৃণমূলের নেতারা দোতলা বাড়ির মালিক হলেও কুঁড়ে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন বাড়ি মেরামতির টাকা নিতে।”
রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “আন্দোলনকে আরো প্রসারিত, আরো শক্তিশালী করতে হবে। সেই স্তরে আমরা পৌঁছেছি যেখানে সংগ্রামের রাজনৈতিক অভিমুখ তৈরি করতে হবে। আন্দোলনের নতুন ধাপে ১৬ জুন রাজ্যব্যাপী ১৬ দলের ডাকে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। কলকাতায় রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করেই এই বিক্ষোভ হবে। জেলাগুলিতেও এই বিক্ষোভ হবে।”
তিনি আরও জানান, “বিজেপি কখনোই তৃণমূলের বিকল্প হতে পারে না। বামপন্থীরাই যে তৃণমূলের একমাত্র বিকল্প তা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। “