আজ বিকেল: বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুতে জড়াল তৃণমূলের নাম। অভিযোগ, বৃদ্ধা সুরবালাদেবীকে খুন করেছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এনিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের নরখালি গ্রামে।
অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী জন বার্লার হয়ে প্রচারে যাক হরিদাস দাস, তা চায় না স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই তাঁর বাড়িতে শাসানো হয়, এদিকে কেন যাবেন না তানিয়ে পালটা প্রশ্ন করেছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। এতেই বিপত্তির শুরু, এককথা দুকথায় বচসা বেঁধে যায়, ছেলেকে ঘিরে ধরে বিপক্ষ দলের লেকজন কোলাহল করছে বুঝতে পেরেই ঘটনাস্থলে যান বছর পঁচাত্তরের সুরবালা। গন্ডগোলের মাঝখানে পড়ে যান। ভিডের ধাক্কায় সোজা মাটিতে। অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে সব শেষ। এরপরেই মাকে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন হরিদাসবাবু। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে দোষী সাব্যস্ত করে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। সুরবালাদেবীর মৃত্যু দুঃখজনক, তবে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় প্রয়াত হয়েছেন, তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থকদের ধাক্কায় নয়।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ২০ বছর আগে হাওড়াতে এমনই এক ঘটনায় কাশীনাথ গোলুই নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। কাশীনাথবাবুর বাড়িতে সিপিএমের পোস্টার লাগানোর জনয যায় কর্মীরা। তাতে সায়দেননি ওই বৃদ্ধ, তখন সিপিএমের রমরমা। তাই একপ্রকার জোর করে বাম কর্মী সমর্থকরা তাঁর বাড়িতে পোস্টার লাগাচ্ছিল। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়, সেই ধাক্কা পড়ে গিয়ে বালতির মধ্যে কাশীনাথবাবুর মাথা ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। সেইসময়আসরে নেমে তোলপাড় করে দিয়েছিল নতুন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তোলপাড়ে হাওড়া শহরের শক্ত ঘাঁটিতে হেরে যান সিপিএম নেতা স্বদেশ চক্রবর্তী। ২০ বছর পড়ে ফের একই ঘটনা, এবার তৃণমূল আদৌ ভাগ্যের সুপ্রসন্নতা লাভ করে কি না তাই দেখার।