কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সন্তোষপুরে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির দাবি, ওই ব্যক্তির নাম বর্ষা হাঁসদা। তিনি বিজেপির সমর্থক। তৃণমূলের সন্ত্রাসের শিকার। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য, এই প্রতিবেদন আপলোড হওয়া পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটারে ধিক্কার জানিয়েছেন। বলেছেন, এটাই রাজ্যের গণতন্ত্রের চেহারা।
অসুস্থ আরেক পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননও এই ঘটনার ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে, এই ঘটনা এই প্রথম নয়। রাজ্যে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলির তীব্র প্রতিবাদ ছাড়াও নির্বাচনের ময়দানেও এই ঘটনাকে ইস্যু করেছে বিজেপি।
উল্ল্যেখ করা যেতে পারে, রাজ্যে এসে মহালয়ায় নিহত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে গিয়েছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। কিন্তু, নিহত ব্যক্তিদের চিতাভস্ম তো পাওয়া সম্ভব নয়, তাঁদের গ্রামের এক কলস মাটিই গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা নির্বাচন – ৮০ জনের বেশি কর্মী খুন হয়েছে বলে দাবি করে রাজ্য বিজেপি।
বিজেপির দাবি, প্রতিটিই রাজনৈতিক খুন এবং একমাত্র কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সন্ত্রাস। এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মধ্যে পুরুলিয়া থেকেই ৬ নিহত বিজেপি কর্মীর গ্রামের মাটি কলসী ভর্তি করে কলকাতায় এসেছিল। পুরুলিয়ার ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার, জগন্নাথ টুডু, নিরঞ্জন গোপ,শিশুপাল সহিস এবং দামোদর মণ্ডল দেহ পাওয়া গিয়েছিল। যাঁরা বিজেপি কর্মী।
এই রহস্যময় মৃত্যু গুলির মধ্যে ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কুমারের নাম আগে আসবে। এই দুই যুবকের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুরুলিয়ার বলরামপুরের ত্রিলোচন মাহাতো কলেজ ছাত্র ছিলেন। বিজেপি পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। তাঁর দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বুকে একটা কাগজ সাটা – তাতে স্পষ্ট বার্তা বিজেপি পার্টি করার জন্য তাঁকে শাস্তি দেওয়া হলো।
পুরুলিয়ার দুলাল কুমারের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় বিদ্যুতের হাই-টেনশন পোলে ঝুলন্ত অবস্থায়। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন শিশুপাল সহিস নামে এক তরুণের দেহ পুরুলিয়ার অর্ষা তে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিজেপি দাবি করে ওই তরুণ তাদের কর্মী।