কলকাতা: ভোটের দু’দিন আগেই কোচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দিল কমিশন৷ এসপিকে অপসারণের প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশনে চিঠি তৃণমূলের৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ কমিশনের চিঠি দিয়ে পদ্ধতি মেনে এসপিকে বদলি করা হয়নি বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ কমিশনার মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত ভাবে অভিযোগ জানানো হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷
এদিন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ‘কমিশনের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট মুকুল রায়ের নির্দেশে এই বদলি করা হয়েছে৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নেয় বিচার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছে কমিশন৷ সঠিক পদ্ধতি মেনে বদলি করা হয়েছে৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে এসপি কাজ করছিলেন৷ কিন্তু, বিজেপি নেতাদের কথা অনুযায়ী তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷’’ চিঠিতে নতুন এসপি অমিত কুমার সিংকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে৷
ভোটের দু’দিন আগেই কোচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দিল কমিশন। নতুন এসপি হলেন অমিত কুমার সিং। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজই অমিত সিংকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷ জানা গিয়েছে, কোচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা৷ বিরোধীদের পর্যবেক্ষকদের কাছেও একাধিক অভিযোগ উঠছিল৷ মূলত, এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে অপসারিত করা হয়৷
এর আগে ৭ এপ্রিল কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভা থেকে অভিষেক গুপ্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন মুকুল রায়৷ বলেন, ‘কত বড় এসপি, দেখে নেব৷’ মুকুল রায়ের এই ঘোষণার পরই এসপিকে অপসারণের খবরে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় রাজ্যের দু’কেন্দ্র কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোট৷ মোট বুথের সংখ্যা ৩৮৪৪টি। এরমধ্যে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের মোট বুথ ২০১০৷ কমিশন সূত্রে খবর, তার মধ্যে মাত্র ১০৬০টি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ বাকি ৯৬০টি বুথে রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তায় ভোট হবে বলে খবর৷
এর আগেও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘পক্ষপাতে’র অভিযোগ তুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দু’পুলিশ কমিশনার ও বাংলার চার জন পুলিশ কর্তাকে বদলির নির্দেশের বিরুদ্ধে কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার৷ গত শুক্রবার রাতে মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে কমিশনের তরফে বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লেখেন মমতা৷ বলেন, ‘‘কমিশনের এই সিদ্ধান্ত খামখেয়ালি শুধু না, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাতদুষ্ট। বিজেপি-র পক্ষ নিয়ে যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি জবাব দিয়ে গোটা অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কমিশন৷