নয়াদিল্লি: চলছে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ৷ দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি তথা বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা অনেকটা নির্ভর করছে দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলাফলের উপর৷ কারণ আজ যে ৯৫টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে, ২০১৪ সালে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গের (দুটি) বেশ কিছু আসন ছিনিয়ে আনতে পেরেছিল বিজেপি৷
ফলে, এই আসনগুলির ভোট এবার বিজেপির কাছে মরণ বাঁচন লড়াই। ভেলোর ও ত্রিপুরা পূর্ব আসনে আজ ভোট হচ্ছে না। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে৷ আর এই আসনগুলিতে এবার অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীর জোট বনাম বিজেপির লড়াই হচ্ছে প্রথমবার। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ এই আসনগুলিতে সরাসরি কংগ্রেস জোটে না থাকলেও এমনভাবে কিছু কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে যে সেটা স্পষ্টই জোটকে সহায়তা করবে। কারণ উচ্চবর্ণের ভোট বিভাজন। বিজেপির প্রতি বিরক্ত উচ্চবর্ণের ভোটব্যাঙ্কের কাছে একমাত্র বিকল্প কংগ্রেস। কারণ ওই অংশ জোটপ্রার্থীকে ভোট দেবে না। ফলে লোকসান হবে বিজেপির।
এই আট আসনের মধ্যে এবার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই পাটিগণিতের হিসাবে এগিয়ে জোট। একইভাবে বিহারে আজ যে লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট চলছে, সেটি সীমাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, আরারিয়া এলাকাগুলি পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত। যার মধ্যে কিষাণগঞ্জ মুসলিম অধ্যুষিত। সুতরাং এই সীমাঞ্চলে বিজেপির একমাত্র ভরসা নীতীশ কুমারের ভাবমূর্তি। তাই এবার যদি এই কেন্দ্রগুলি থেকে এনডিএ প্রার্থী জয়ী হতে না পারেন তাহলে বোঝা যাবে নীতীশ কুমারের জনপ্রিয়তা কমছে। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে বিহারে বিজেপি হবে আরজেডির বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি। দুর্বল হবে এনডিএ জোট। এবং নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক জীবনে ধাক্কা লাগবে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে এবার বিজেপি বহু আশা নিয়ে রয়েছে। বস্তুত উত্তরবঙ্গের উপরই বিজেপি ভরসা রাখছে এবার। তাই আজ এই তিন কেন্দ্রের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।