এ ভোটের ভাগ হবে না! তৃণমূল-ওয়াইসি দ্বন্দ্বে জল মাপছে বাংলা

কলকাতা: এ ভোটের ভাগ হবে না৷ পশ্চিমবঙ্গের ৩২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংককে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই কারণেই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি’র এএইএমআইএমকে দেখে যেন লাল-সংকেত দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ উত্তরবঙ্গে যে সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াইসিকে নিশানা বানিয়েছেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জে কিছু সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের একটি

এ ভোটের ভাগ হবে না! তৃণমূল-ওয়াইসি দ্বন্দ্বে জল মাপছে বাংলা

কলকাতা: এ ভোটের ভাগ হবে না৷ পশ্চিমবঙ্গের ৩২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংককে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই কারণেই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি’র এএইএমআইএমকে দেখে যেন লাল-সংকেত দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

উত্তরবঙ্গে যে সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াইসিকে নিশানা বানিয়েছেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জে কিছু সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের একটি বড় অংশ৷ মমতা কখনোই চাইবেন না, এই বিপুল ভোটব্যাংক, যা শেষ ৭-৮ বছর ধরে তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে, তা হঠাৎ দূরে সরে যাক৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা রাজ্যে আগামীদিনে এন আর সি-কে মেরুকরণের বার্তাবাহক হিসাবে ধরছেন৷

সেই কারণেই, বিজেপি এবং তৃণমূল (যথাক্রমে এন আর সি-এর সমর্থক এবং বিরোধী) ভোট ভাগাভাগি করে নেবে, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে তৃতীয় শক্তি হিসাবে বামে-কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকে থাবা বসতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপিকে আটকাতে হলে, তৃণমূল-ই একমাত্র বিকল্প ভোটারদের মনে করিয়ে দিতে চাইছেন মমতা৷ সেক্ষেত্রে, বাংলার মুসলমান সমাজ, যা দীর্ঘদিন ধরেই বাম এবং কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে এসেছিল, তারা তৃণমূলের দিকে ঘুরেছে তা যেমন সত্য, তেমনই, মুসলিম রাজনৈতিক দল এআইএমএইএম এর দিকে ঘুরে যেতে পারে সেই আশঙ্কাও রয়েছে৷

সেক্ষেত্রে, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির মত নেতা যদি মমতার ভোটব্যাংকে থাবা বসায় তবে তা সব থেকে আনন্দের বিষয় হবে বিজেপির কাছে৷ সেক্ষেত্রে, একজন মুসলিম নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে পছন্দ করার মুহূর্ত আসবে৷ বাংলার মুসলমান সমাজের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুধ্যে ক্ষোভ নেই এমন নয়৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের লেখা অনুযায়ী, বাংলার মুসলমানদের তেমন উন্নতি হয়নি৷ অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, সাচার কমিটির সুপারিশ কার্যকর হয়নি৷ সেক্ষেত্রে, মুসলিমদের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে উপস্থিত হয়েছেন আসাদুদ্দিন৷ কাজের তিনি তৃণমূলের বিষ নজরে থাকবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *