এবার উড়ো ফোনে আশঙ্কিত মন্ত্রীরাও, কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ মমতার

কলকাতা: জয় শ্রীরাম বনাম জয়হিন্দ, জয়বাংলা স্লোগানে এবার বিদ্ধা বাংলার মন্ত্রীদের একাংশ৷ উড়ো ফোনে বাড়ছে আতঙ্ক৷ ফেন, এএসএস, সোস্যাল মিডিয়ায় আসছে নানান বার্তা৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, কাজে মনোযোগে সমস্যা হচ্ছে মন্ত্রীদের৷ আজ, নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এমনই অভিযোগ মন্ত্রীদের৷ মন্ত্রীদের অভিযোগ, কেউ বা কারা মন্ত্রীর ফোন নম্বর ছড়িয়ে দিয়েছে৷ নম্বর ফাঁস হতেই মুহূর্তে

এবার উড়ো ফোনে আশঙ্কিত মন্ত্রীরাও, কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ মমতার

কলকাতা: জয় শ্রীরাম বনাম জয়হিন্দ, জয়বাংলা স্লোগানে এবার বিদ্ধা বাংলার মন্ত্রীদের একাংশ৷ উড়ো ফোনে বাড়ছে আতঙ্ক৷ ফেন, এএসএস, সোস্যাল মিডিয়ায় আসছে নানান বার্তা৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, কাজে মনোযোগে সমস্যা হচ্ছে মন্ত্রীদের৷ আজ, নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এমনই অভিযোগ মন্ত্রীদের৷

মন্ত্রীদের অভিযোগ, কেউ বা কারা মন্ত্রীর ফোন নম্বর ছড়িয়ে দিয়েছে৷ নম্বর ফাঁস হতেই মুহূর্তে উড়ো ফোন আসছে৷ আর তাতেই কাজে সমস্যা হচ্ছে মন্ত্রী৷ দলের নেতাদের মুখ থেকে এহেন অভিযোগ শুনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নির্দেশ দেন, যে ফোন নম্বর থেকে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে, তাদের চিহ্নত করে ব্যবস্থা নিক পুুলিশ৷

ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আরামবাগের সংসদ সদস্য অপরূপা পোদ্দারের সঙ্গে৷ তাঁর বাড়িতে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকৃত ছবি, সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ লেখা চিঠি৷ বাড়ির লেটার বক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো ঠিকানা লেখা চিঠি৷ চিঠি পাওয়ার পরেই শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূল সাংসদের৷

এর আগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি মোকাবিলায় বাংলার রাজনীতিতে ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ফাঁস করে দেওয়ার ঘটনা ঘটতে৷ অর্জুন সিং, দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীর নম্বরও ফাঁস করে দেওয়া হয়৷ এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার উড়ো ফোনে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় বাংলার মন্ত্রীরা৷

সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক কর্তা ও মন্ত্রীদের ডাকা মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে এল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ৷ সূত্রের খবর, আজ নবান্নের বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রীদের একাংশ৷ পুলিশ ব্যালেন্স করে চলছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অভিযোগ তোলেন মন্ত্রীদের একাংশ৷ কোথায় কোন পুলিশ অফিসার, তাঁদের কথা শুনে চলছেন না, তাও জানানো হয় বলে শূত্রের খবর৷

সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই এক মন্ত্রীতো জানিয়েই দেন, ‘‘আপনার পুলিশ ব্যালেন্স করে চলছে৷ এদের বিষয়টা একটু দেখুন৷’’ মন্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি৷ সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানান, নীচুতলার পুলিশের একাংশ কথা শুনছে না৷ যাঁরা এমন করছেন, তাঁদেক বিরুদ্ধে ব্যববস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর৷

বলেন, ‘‘কয়েকটি জায়গায় বেশ কয়েকজন ওসি নির্দেশ পালন করছেন না৷ বেশ কয়েকটি জায়গায় আইসিরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না৷ আমরা সব দেখছি৷ তবে, এইসব বেশি দিন চলবে না৷ দায়িত্ব পালন না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’

নিজে পুলিশমন্ত্রী হয়ে তাঁর নিজের দপ্তরের কর্মীদের এহেন আচারণে রীতিমত ক্ষুব্ধ মমতা৷ গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত থাকতে পারেব বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি৷ বলেন, ‘‘বিজেপি রাজ্য সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু, ওরা যতই চেষ্টা করুক৷ দু’বছর পরেই নির্বাচন হবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *