কলকাতা: বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় নয়া তরজা৷ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের৷ পাল্টা রাজ্যপালের হয়ে সওয়াল তৃণমূলের৷
রাজ্যের লিখে দেওয়া রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের উপর বুধবার আলোচনা শুরু করেন কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্র নাথ হালদার৷ রাজ্যপালের ভাষণের বিরোধিতা করে কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচনগুলিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দিতা করার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গায়ের জোরে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এক দলের প্রতীকে জিতে এসে অন্য দলে চলে গেলেও, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয় না। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রন জানানো হয় না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তৃণমূল বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার রাজ্যপালের ভাষণকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। পড়ুয়াদের স্কুল ড্রেস সহ পড়াশোনার সব সামগ্রী সরকারই যোগান দেওয়ায়, স্কুলছুটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পাহাড়ে ও জঙ্গলমহলে আইন-শৃঙ্খলার অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে৷ এর পাল্টা বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেন রাজ্যপালের ভাষণের বিরোধিতায় করে বলেন, এই সরকার ইমামভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতার নামে ভোট চেয়ে আদতে কেন্দ্রের মতোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে৷ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বিধায়কদের উপরও আক্রমণ নেমে আসছে। তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ বলেন, রাজ্যপালের ভাষণে রাজ্যের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক অবস্থা ও রাজ্যের সার্বিক উন্নতি ফুটে উঠেছে৷
বাম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় ও প্রদীপ সাহা বলেন, শিক্ষাখাতে রাজ্যের বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে, অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় খাতে বরাদ্দ বাড়ছে৷ আলোচনায় তৃণমূল কংগ্রেসের শীলভদ্র দত্ত, কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত সহ মোট ১৭ জন বিধায়ক অংশগ্রহণ করেন৷