কলকাতা: রাজভবন-নবান্নের সংঘাতে জল ঢেলে এবার মুখ্যমন্ত্রীরবাড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রে অভিভূত বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল৷ আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে সস্ত্রীক যাচ্ছেন ধনকর৷
ভাইফোঁটার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ এরপর কালীপুজোর দিন সস্ত্রীক রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোয় আমন্ত্রণ পেয়ে অভিভূত রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলাম৷ কারণ ভাইফোঁটা দিনটি ভাই-বোনের সম্পর্কের একটি অন্যতম দিন৷ ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমি আর্জি জানিয়ে ছিলাম৷ এর পরে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাঁর বাড়ির কালীপুজো যাওয়ার জন্য সস্ত্রীক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আমি তাঁর আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়ে কাল মুখ্যমন্ত্রীর কালীপুজোয় যাব৷’’
প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজো করে থাকেন৷ কালীপুজোর অনুষ্ঠানে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী, আমলা থেকে বিশিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ নিজে অতিথি আপ্যায়ণ করেন মমতা৷ এবিষয়ে রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি জানতে পেরেছি, ১৯৭৮ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে পুজো করে আসছেন৷ এবার ৫১ বছর৷ আমি তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি৷’’ রাজ্যপাল হিসাবে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যাবেন রাজ্যপাল৷
রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তার ঘটনায় হোক কিংবা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজ্যের বিরুদ্ধে একের পর এক তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যপালের তির্যক মন্তব্যকে কেন্দ্র তাঁর ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিল শাসক তৃণমূল৷ এবার সেই রাজ্যপালকে বাড়ির পুজোয় আমন্ত্রণ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নয়া চর্চা৷ অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘আমন্ত্রণ সৌজন্য’ ফিরুক রাজ্যের উন্নয়নেও৷ সংঘাত ভুলে লেখা হোক বাংলার নতুন ইতিহাস৷