কলকাতা: কিছু দিন আগে মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, তিনি রামকথা পড়বেন ভবানীপুরের বাড়িতে৷ কিন্তু, আজ ঘলট উলাট পুরাণ! মঙ্গলবার ‘রামভক্ত’ মদন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখন তিনি রাম-নাম করবেন না৷ মদনের যুক্তি, রামের নাম করে কিছু মানুষ হিংসা ছড়াচ্ছে। হানাহানি করছে। এই সময় তিনি যদি ‘রামকথা’ পড়েন, তবে তা সেই হিংসায় মদত দেওয়ার সমান হবে৷
মদন মিত্রর সাফাই, রাম মানে একা রাম নন, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান সকলেই আছেন একসঙ্গে। নিয়মিত তিনি হনুমান চল্লিশাও পড়েন৷ আজ মঙ্গলবার অন্যথা হয়নি৷ বুধবার অথাৎ ২৪ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর ভবানীপুরের বাড়িতে রামকথার আসর বসার কথা ছিল৷ কিন্তু, তা তিনি বাতিল করেছেন বলেও জানান৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মদন মিত্র দলে বহুদিন ধরেই কোণঠাসা ছিলেন দলে। সারদাকাণ্ডে জেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে তফাৎ রেখে চলেন দলের তাবড় নেতারা৷ যে মদন এক সময় তৃণমূলের প্রথম পাঁচ জনের একজন ছিলেন, এখন তিনি দলে কার্যত কেউ না৷ দলনেত্রী তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভের মেঘ পুঞ্জীভূত তাঁর মনেও৷ প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘কেন সবসময় মুখ ঝামটা সহ্য করব৷’’ যদিও ভাটপাড়ার উপনির্বাচনে মদনকে প্রার্থী করা হলেও তিনি পরাজিত হন৷ এর পর থেকে দলের অন্দরে ফের কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি৷ পরে, রামকথার আয়োজনের ঘোষণা করেও কোণঠাসা হয়ে পড়েন৷ পরে, রামকথার আসর থেকে নিজেকে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ঘুরিয়ে দিলেন বার্তা৷