এবার ‘বহিরাগত’ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার, তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

কলকাতা: প্রার্থী ঘোষণা হতেই প্রকাশ্যে এল বিজেপির দ্বন্দ্ব৷ ‘বহিরাগত প্রার্থী’র বিরুদ্ধে এবার পোস্টার বসিরহাটে৷ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর নামে পোস্টার ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা৷ যদিও, এই পোস্টকে আমন দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন৷ অন্যদিকে, কোচবিহারে প্রার্থী ঘিরে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপির

এবার ‘বহিরাগত’ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার, তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

কলকাতা: প্রার্থী ঘোষণা হতেই প্রকাশ্যে এল বিজেপির দ্বন্দ্ব৷ ‘বহিরাগত প্রার্থী’র বিরুদ্ধে এবার পোস্টার বসিরহাটে৷ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর নামে পোস্টার ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা৷ যদিও, এই পোস্টকে আমন দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন৷ অন্যদিকে, কোচবিহারে প্রার্থী ঘিরে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ বিজেপি সূত্রে খবর, আজ কোচবিহারের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির মখ্য পর্যবেক্ষরক অরবিন্দ মেনন৷ বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়াও বার্তা দেন তিনি৷

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই শুক্রবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে পড়ে বিজেপি শিবির৷ এদিন বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে লোকসভা কেন্দ্র বিভিন্ন এলাকায় একটি পোস্ট দেখা যায়৷ তাতে লেখা হয়, ‘বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বহিরাগত সায়ন্তন বসুকে চাই না৷ লোকাল লিডিরকেই প্রার্থী করতে হবে৷’  বসিরহাট লোকসভা বিজেপি  কর্মীবৃন্দের নামে এই পোস্টা দেওয়া হয়৷

এলাকায় বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এহেন পোস্ট দেখে চূড়ান্ত বিপাকে পড়েন স্থানীয় নেতৃত্ব৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্য, ‘‘কে কোথায় কী পোস্ট দিয়েছে, জানি না৷ কিন্তু, এটা বলতে পারি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নেওয়া নির্দেশ পালন করতে আমরা বাধ্য৷ আমরা তাঁদের নির্দেশ মেনে চলব৷ এটাই বিজেপির শিক্ষা৷’’ এবার ‘বহিরাগত’ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার, তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

দীর্ঘ টালবাহানার পরে যদিওবা দোল পূর্ণিমার সন্ধেয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেল, কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই গেরুয়া শিবিরে। একের পর এক ক্ষোভের খবর রাজ্য জুড়ে। এমনকী, অসন্তোষের জেরে পদত্যাগ করলেন বিজেপির সহ-সভাপতি। প্রার্থী তালিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ রাজকমল পাঠকের। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। হুগলিতে প্রার্থী হয়েছিলেন রাজকমল পাঠক। ওই আসনে এবার প্রার্থী করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট প্রার্থী হওয়ায় স্বভাবতই মেনে নিতে পারেননি রাজকমল। তারপরেই এই পদত্যাগ।

অন্যদিকে, প্রার্থী ঘোষণা হওয়া মাত্রই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার অভিযোগ তুলে দপ্তর ভাঙচুর ও বিক্ষোভ দেখান কোচবিহারের নেতা কর্মীরা৷ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, কোচবিহারে নীশিথ প্রামাণিককে তাঁরা প্রার্থী হিসাবে কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না৷ তাঁদের অভিযোগ, দলে আরও ভাল প্রার্থী থাকলেও কেন তৃণমূল ছেড়ে আসা নীশিথকে প্রার্থী করা হল? তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিশীথ প্রামাণিককে বহিষ্কার তৃণমূল৷ পরে, দিল্লিতে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে বিজেপিতে যোগ তিনি৷ তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিককে নিয়ে আগে থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ ছিল৷ প্রার্থী ঘোষণা হতেই সেই ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =