কোচবিহার: রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে ধর্নায় বসলেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়৷ প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের জেলাশাসকের দপ্তরের সমানে বসে পরেন মুকুল রায় সহ বিজেপির নেতাকর্মীরা৷ সব বুথে বাহিনী চেয়ে এদিন জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে চান মুকুল রায়৷ কিন্তু, তা না হওয়ায় জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে বসে পড়েন মুকুল সহ জনা ৫০ বিজেপি কর্মী৷
অন্যদিকে, আর দু’এক দিনের মধ্যেই লোকসভা ভোটে বুথ পাহারার জন্য রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কিন্তু, হিসাব বলছে, প্রথম দফার ভোটে সর্বাধিক ৪০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা যাবে৷ বাকি বুথে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ৷ অর্থাৎ, ৬০ শতাংশ বুথে দু’জন করে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ পাহারায় থাকবে৷
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, হাফ সেকশন বা চারজন ছাড়া জওয়ানরা ডিউটি করেন না। রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ক্ষেত্রে অবশ্য সে রকম নিয়ম নেই। তবে এবার বাইরের রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে কম। এই মুহূর্তে রাজ্যে টহলদারির জন্য রয়েছে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদেরও প্রথম দফার ভোটে পাঠানো হবে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও জঙ্গলমহল থেকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটের জন্য পাঠানো হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে৷
আগামী ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোট হবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে। কোচবিহারে বুথের সংখ্যা ২০১০। আর আলিপুরদুয়ারে বুথের সংখ্যা ১৮৩৪। প্রথম দফায় মোট বুথের সংখ্যা ৩৮৪৪টি। কোচবিহারের ভোটারের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ১০ হাজার ৬৫৮। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার ১৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১৬ জন। প্রথম দফার ভোটে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার হলেন ২৯ জন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফার ভোটে যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, তাতে ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৫৩৮টি বুথে তাদের মোতায়েন করা যাবে। বাকি বুথে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। যা নিয়ে বিরোধীদের তীব্র আপত্তি রয়েছে।