কলকাতা: নির্বাচন পর্বের শুরুতেই বাংলার রাজনীতিতে উঠে এসেছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি৷ কিন্তু, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলও বাংলার রাজনীতির ময়দান ছাড়তে নারাজ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান৷ তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থানে বাংলায় বুকে এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় এই স্লোগান৷ মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা অন্তত ১০ লক্ষ চিঠি পাঠানোর হুঁশিয়ারি অর্জুন সিংহের৷
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে মমতা পুলিশকে দিয়ে গ্রেপ্তার করাচ্ছে৷ যদি জয় শ্রীরাম বলাটা অপরাধ হয়, তাহলে এবার আমাদের গ্রেপ্তার করুক পুলিশ৷ জয় শ্রীরাম লেখা ১০ লক্ষ চিঠি এবার আমরা মমতার বাড়িতে পাঠাবো৷ এবার ১০ লক্ষ মানুষকে গ্রেপ্তার করুক পুলিশ৷’’
বৃহস্পতিবার জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নৈহাটি যাওয়ার পথে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনতেই গাড়ি থেকে মেনে রীতিমত বিজেপি কর্মীদের ধাওয়া করেন৷ গাড়ি থেকে নামেই পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘নাকা চেকিং করো, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’
গাড়ি থেকে নেমে কটুবাক্য প্রযোদ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয় চলে আয়, আয় এদিকে আয়৷ …. ক্রিমিনাল৷ এখানে খাচ্ছে ধাচ্ছে, আর গুণ্ডামি করছে৷ বেঁচে আছো আমাদের জন্য৷ আমার গাড়িতে হামলা করতে আসছে৷ চামড়া গুটিয়ে রেখে দেব৷ আমাকে গালাগালি দিচ্ছে? বাংলাটাকে গুজরাট করতে দেব না৷ এর একটা সীমা থাকা উচিত৷’’ এরপরই পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি৷ ‘‘নাকা চেকিং করে, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’
এর আগে নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বিব্রত হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন৷ গত ৫ মে গাড়ি থেকে নেমে মমতাকে বলতে দেখা যায়, ‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’