কলকাতা: ওঁরা ছাত্র নয়৷ ওরা দুষ্কৃতী৷ ক্রিমিনাল৷ ওঁদের পেটানো উচিত৷ দেশদ্রোহী৷ রাষ্ট্রবিরোধী৷ ওদের পেটানো উচিত৷ ওঁদের হাত ভেঙে দেওয়া উচিত৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনায় এমনই দাবি জানালেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু৷ পাল্টা ‘কলরব’ তুলেছেন যাদবপুরের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘‘টানা ৬ ঘণ্টা ধরে যাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিগ্রহ করে, তাদের হাত ভেঙে দিতে আমরা জানি৷ যারা মেরেছে তাদের চিহ্নিত করে আমরাও পারি তাদের উপর আক্রমণ করতে৷ কিন্তু করিনি৷ আগামী দিনে করব কি না পরিস্থিতি বলবে৷’’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুরে সুর মিলিয়ে সায়ন্তন বসু জানান, ‘‘আমি জানি না কাল কারা মারধর করেছে৷ কিন্তু এটা আমি বলতে পারি ওদের আরও ভালো করে মারা উচিত ছিল৷ আচ্ছা করে পেটালে ওদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে৷ যারা মন্ত্রীকে হেনস্থা করে, মারধর করে, চুলের মুঠি ধরে টানে, তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেবো?’’
পাল্টা সুর জড়িয়েছেন যাদবপুরের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷ তাদের দাবি, ‘‘এটাই হল বিজেপির সংস্কৃতি৷ যারা মার-দাঙ্গা করতে ওস্তাদ৷ আমরা আজ ছাত্ররা প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷’’ শনিবার শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশাল মিছিল করেন পড়ুয়ারা৷ সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আরএসএসের ছাত্রসংগঠনের তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান৷ একই সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ৷ জানান, বাবুল সুপ্রিয় অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিলেন৷ আর সেই কারণে পড়ুয়ারা উত্তেজিত হয়ে তাঁকে হেনস্থা করেছে৷