কলকাতা: NRS-জট কাটাতে নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বরফ গলাতে আজ শনিবার বিকালে বৈঠকে বসার প্রস্তাবও দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া লাগাতার আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আজ জানিয়েছেন, তাঁরা নবান্নে যাবেন না৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে করবেন না বৈঠক৷ মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএসে আসতে হবে৷ চাইতে হবে ক্ষমা৷ তাঁরা চান না, নবান্নে বন্ধ দরজার আড়ালে সমস্যা সামাধেন বৈঠক বৈঠক হোক৷
শনিবার দুপুরে জেনারেল মিটিংয়ের পর আন্দোলনকারী মেডিক্যাল পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে চিকিৎসকদের নিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে তাঁরা মর্মাহত৷ তাঁরা চান না দু’চার জনকে নিয়ে বন্ধ দরজার পিছনে কোনও বৈঠক হোক৷ সমস্যা সমাধান করতে হলে মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএসে আসতেই হবে৷ তারপর হবে আলোচনা৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় এনআরএস কাণ্ডের জট কাটার কিছুটা লক্ষণ দেখা গেলেও মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অনড় মনোভাবের কাছে পরাস্থ হল সরকারি প্রস্তাব৷ আর তার জেরেই নতুন করে তৈরি হল অচালবস্থা৷ এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে কে নত করবেন মাথা? মুখ্যমন্ত্রী, নাকি জুনিয়র চিকিৎসকরা? এই নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় আলোচনার বার্তা নিয়ে এনআরএসে পৌঁছান স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র৷ তাঁকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চিকিৎসকরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে৷ চিকিৎসকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএসে আসতে হবে৷ বৈঠক যাওয়া নিয়ে বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, তাঁরা বরফ গলাতে যাবেন না নবান্নে৷
এদিন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন৷ আমি এখানে এই কথা বলতে এসেছিলাম৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি চার জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান৷ আমি সেই কথা তাঁদের জানিয়েছি৷ এখনও পরবর্তী সিদ্ধান্ত ওই নেবেন৷’’
যদিও, আন্দোলনকারীদের তরফে আগেই তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে৷ চিকিৎসকদের উপর থেকে মামলা তুলে নেওয়া, এনআরএসে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা প্রর্থনা ও ডাক্তারদের নিরাত্তার দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি চলবে৷ এদিন নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বহিরাগত বলেছেন৷ এত কম সময়ের মধ্যে কেন তাঁরা নবান্নে গিয়ে বৈঠক করবেন?