স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে জবরদস্ত মোকাবেলা হবে: অধীর! না হলে জামা খুলবেন কীভাবে? পার্থ

স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে জবরদস্ত মোকাবেলা হবে: অধীর! না হলে জামা খুলবেন কীভাবে? পার্থ

 

কলকাতা: যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল ঠিক তেমনটাই হল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সরকারিভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি৷ সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজ্যজুড়ে কংগ্রেস তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে বলেও সুর চড়ান৷

এই নিয়ে দু-দুবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন তৃণমূল বিরোধী বলে পরিচিত অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই অধীরবাবুকে দলের সভাপতি করে জোট বার্তা দিয়ে দিলেন সোনিয়া গান্ধী৷ আগামী বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গেই যে তাঁরা জোট বাঁধতে চলেছেন, সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী৷ এ প্রসঙ্গে অধীর বাবু বলেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে কংগ্রেস বামেদের হাত ছাড়েনি, কংগ্রেস যেখানে থাকার সেখানেই আছে। বরং বামেরা মনে করেছিলেন কংগ্রেসের হাত ধরায় তাদের ভোট কমে গিয়েছিল৷ তাই তারা কিছুটা দ্বিধা বোধ করছিল কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় আশা নিয়ে। তাই এদিন অধীর বাবু স্পষ্টত জানিয়ে দেন, তারা বামেদের সঙ্গে জোটে ছিলেন, আছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই বাম কংগ্রেস ঐক্য আরও মজবুত হোক।’’

এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই অধীরবাবু বলেন, যাঁরা মান-অভিমান করে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে ও বিজেপিতে চলে গিয়েছেন, তাঁরা আবার ফিরে আসুন৷ যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে দলে নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপির মতো বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে একজোট হয়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে অধীর জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে জবরদস্ত মোকাবেলা হবে৷ তার জন্য আমরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত৷’’ পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব৷ জানিয়েছেন, ‘‘হ্যাঁ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন তো করতেই হবে, তা না হলে জামা খুলবেন কীভাবে?’’

প্রসঙ্গত, অধীরবাবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে ফোন করে অভিবাদন জানান মহম্মদ সেলিমের মতো বাম নেতারাও। বুধবার সোনিয়া গান্ধী তাঁকে ফোন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন আর বৃহস্পতিবার তিনি সরকারিভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, সৌমেন মিত্রর মৃত্যুর পরই এই পদটি শূন্য হয়ে যায়৷ এই পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। অবশেষে এআইসিসি তৃণমূল বিরোধী অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে বলাই যেতে পারে একুশের বিধানসভার আগে একটা মাস্টার স্ট্রোক খেললো৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − six =