আজ বিকেল: বাংলায় বিরোধী দলের ব্যাটন পেলেও মন্ত্রীসভায় ব্রাত্যই থেকে গেলেন মুকুল দিলীপরা। ২০১৪-তে দুটো আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেই মিথ ভেঙে বাংলায় ইতিহাস গড়েছে বিজেপি, তারপরেও বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের জন্য মোদির মন্ত্রীসভায় ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই রব। এত সাফল্যের পরেও পূর্ণ মন্ত্রীর শিকে ছিঁড়ল না। বাবুল সুপ্রিয় এবারেও প্রতিমন্ত্রী হলেন, সঙ্গে দেবশ্রী চৌধুরিও পেলেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
দুটো থেকে চারবছরের ব্যবধানে ১৮টি আসন। কিছুদিন ধরে মোদির অন্যতম সুহৃদ তথা সহকারী অমিত শাহর মুখে বাংলার নাম বার বার। সবাই ভেবেছিলেন এবার মোদির মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হবেন বাংলার বিজেপি নেতাদের দুএকজন, কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। একজনের জায়গায় দুজন প্রতিমন্ত্রী পেল বাংলা। এখানে বলে রাখা ভাল, রাজ্যের মতই কেন্দ্রেও প্রতিমন্ত্রীদের কার্যত কোনও কাজই থাকে না। মন্ত্রকের পূর্ণ মন্ত্রীরা তাঁদের কাছে ফাইল পাঠাতে চান না। এ ব্যাপারে মনমোহন মন্ত্রিসভা আর মোদির মন্ত্রিসভায় কোনও ফারাক নেই। বরং মোদির মন্ত্রিসভায় অনেক পূর্ণ মন্ত্রীরই কাজ ছিল না প্রথম মেয়াদে। সচিবরাই দপ্তর চালাতেন। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। অনেকের মতে, এ ব্যাপারে দিদির মন্ত্রিসভার সঙ্গে মোদির মন্ত্রিসভার কার্যশৈলীর ফারাক নেই।
বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের অনেকের মতে, বাবুলকে মন্ত্রী করার পর বাংলায় বিজেপি-র সংগঠনের যে খুব উপকার হয়েছিল তা নয়। কারণ, তাঁর সঙ্গে সংগঠনের বহু নেতার রেষারেষি ও মন কষাকষি এতোটাই যে তালমিল বিশেষ ছিল না। আর দেবশ্রী চৌধুরির কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে মনে রাখতে হবে, এটাই পথের শেষ নয়। তাছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রীত্বকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি, তাই সংগঠনের শক্তি বাড়াতে দলীয় নেতৃত্ব কালঘাম ছোটাক এমনটাই চাইছেন অমিত শাহ। পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে তো সেই কাজ ঠিকমতো হবে না।