কলকাতা: রাজ্যজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক উত্তেজনাপ্রবণ বুথ চিহ্নিত করল কমিশন৷ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের ৭৭ হাজার বুথের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে উল্লেখ করা হতে পারে৷ ১০ জেলায় কমপক্ষে ২০ হাজার বুথকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, ২০ হাজার উত্তেজনাপ্রবণ বুথের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সর্বাধিক৷ এই জেলায় আড়াই হাজার বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হতে চলেছে৷ এর পরই রয়েছে বীরভূম৷ অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় দেড় হাজার বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন৷ পিছিয়ে থাকছে না বর্ধমান৷ এখানেও উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা প্রায় এক হাজারের নীচে৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৯৮১টি বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হতে পারে বলে খবর৷ কমিশন শূত্রে খবর, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে রাজ্যে কমপক্ষে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসতে চলেছে৷ ইতিমধ্যেই ১০ কোম্পানির বাহিনী রাজ্যে রুটমার্চ শুরু করেছে৷
রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। প্রতি বুথকে অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় রাস্তায় টহলদারি চালাতে বৃহস্পতিবার রাতেই বীরভূমে চলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি বাহিনী আসছে আজ, শুক্রবার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’কোম্পানি এবং উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা টহল দেবে। এছাড়া আজ, শুক্রবার ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।
অন্যদিকে, আজ শুক্রবার থেকে ধর্মতলায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভে বসছে তৃণমূল। রাজ্যের ভোটকেন্দ্রগুলিকে অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণার দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এবার সেই গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা চাপের মুখে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের মহিলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।