কলকাতা: দীর্ঘ টালবাহানার পরে যদিওবা দোল পূর্ণিমার সন্ধেয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেল, কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই গেরুয়া শিবিরে। একের পর এক ক্ষোভের খবর রাজ্য জুড়ে।
এমনকী, অসন্তোষের জেরে পদত্যাগ করলেন বিজেপির সহ-সভাপতি। প্রার্থী তালিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ রাজকমল পাঠকের। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। হুগলিতে প্রার্থী হয়েছিলেন রাজকমল পাঠক। ওই আসনে এবার প্রার্থী করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট প্রার্থী হওয়ায় স্বভাবতই মেনে নিতে পারেননি রাজকমল। তারপরেই এই পদত্যাগ।
অন্যদিকে, প্রার্থী ঘোষণা হওয়া মাত্রই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার অভিযোগ তুলে দপ্তর ভাঙচুর ও বিক্ষোভ দেখান কোচবিহারের নেতা কর্মীরা৷ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, কোচবিহারে নীশিথ প্রামাণিককে তাঁরা প্রার্থী হিসাবে কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না৷ তাঁদের অভিযোগ, দলে আরও ভাল প্রার্থী থাকলেও কেন তৃণমূল ছেড়ে আসা নীশিথকে প্রার্থী করা হল?
তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিশীথ প্রামাণিককে বহিষ্কার তৃণমূল৷ পরে, দিল্লিতে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে বিজেপিতে যোগ তিনি৷ তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিককে নিয়ে আগে থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ ছিল৷ প্রার্থী ঘোষণা হতেই সেই ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে৷