থামছে না রাজ্য প্রশাসনের বদলি প্রক্রিয়া, আজও জারি বিজ্ঞপ্তি

লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে কিছুতেই থামছে রাজ্য প্রশাসনের বদলি প্রক্রিয়া৷ আজও বেশ কিছু বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে৷ দফায় দফায় বদলির বিজ্ঞপ্তি ঘিরে প্রশাসনের অন্দরে দানা বাধতে শুরু করেছে চাপা অসন্তোষ৷ আজ, সপ্তাহ থেকে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, সিআইডির ডেপুটি এসপি পদ থেকে এবার বদলি করা

থামছে না রাজ্য প্রশাসনের বদলি প্রক্রিয়া, আজও জারি বিজ্ঞপ্তি

লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে কিছুতেই থামছে রাজ্য প্রশাসনের বদলি প্রক্রিয়া৷ আজও বেশ কিছু বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে৷ দফায় দফায় বদলির বিজ্ঞপ্তি ঘিরে প্রশাসনের অন্দরে দানা বাধতে শুরু করেছে চাপা অসন্তোষ৷ আজ, সপ্তাহ থেকে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে৷

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, সিআইডির ডেপুটি এসপি পদ থেকে এবার বদলি করা হল তন্ময় মুখোপাধ্যায়কে৷ তাঁকে হলদিয়ার এসডিপিও করা হয়েছে৷ ওই পদে ছিলেন অতিশ বিশ্বাস৷ সেখান থেকে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পদে অতিশ বিশ্বাসকে বদলি করা হয়েছে৷ তমলুকের বর্তমান এসডিপিও সব্যসাচী সেনগুপ্তকে সিআইডির ডেপুটি এসপি পদে আনা হচ্ছে বলে খবর৷

অন্যদিকে, নৈহাটি যাওয়ার পথে বারাকপুরে ঘোষপাড়া রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান৷ তার আর জেরেই রোষের মুখে পড়ে বদলি হলেন জগদ্দল থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাস৷ এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের জগদ্দল থানার আইসি বদলের নির্দেশ৷

জানা গিয়েছে, জগদ্দল থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাসকে সরিয়ে বিষ্ণুপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে বদলি করা হয়েছে৷ চন্দ্রশেখর দাসের পরিবর্তে অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে জগদ্দল থানার আইসি পদে আনা হয়েছে৷ অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া বোলপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর পদে যাচ্ছেন সুমন্ত বিশ্বাস৷

বৃহস্পতিবার বিকালে ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়াতে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে নৈহাটি যান মমতা৷ কিন্তু, নৈহাটি পুরসভায় যাওয়ার পথে বারাকপুরে ঘোষপাড়া রোডে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক৷ তিনি দু’বার গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি কর্মীদের ধাওয়া করেন৷ এমনকী তাঁকে উদ্দেশ করে যারা ধ্বনি তুলছিল, এক পুলিশ আধিকারিককে তাঁদের নাম তিনি লিখে নিতে বলেন৷ গাড়ি থেকে নেমে  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয় চলে আয়, আয় এদিকে আয়৷ …. ক্রিমিনাল৷ এখানে খাচ্ছে ধাচ্ছে, আর গুণ্ডামি করছে৷ বেঁচে আছো আমাদের জন্য৷ আমার গাড়িতে হামলা করতে আসছে৷ চামড়া গুটিয়ে রেখে দেব৷ আমাকে গালাগালি দিচ্ছে? বাংলাটাকে গুজরাট করতে দেব না৷ এর একটা সীমা থাকা উচিত৷’’ এরপরই পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি৷ ‘‘নাকা চেকিং করে, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’

এর আগে নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বিব্রত হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন৷ গত ৫ মে গাড়ি থেকে নেমে মমতাকে বলতে দেখা যায়, ‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’ এই ঘটনার জেরেই জগদ্দল থানার আইসির উপর কোপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *