করোনা: মমতাকে একসুরে আক্রমণ বাম-বিজেপির

করোনা: মমতাকে একসুরে আক্রমণ বাম-বিজেপির

কলকাতা: রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো সরব ছিলেনই, আবার একই আওয়াজ তুললেন, বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, অভিযোগ করেন সুজন।

সুজনের বক্তব্য, “সরকারের নির্দিষ্ট করা কমিটি একটা তথ্য দিচ্ছে, আর সরকারের মুখ্যসচিব আরেকটা তথ্য দিচ্ছে। কেন? দুটি তথ্যতো ঠিক হতে পারে না।”  তিনি আরও বলেন, “WHO এন্ড ICMR যে গাইডলাইন দেবে তা সরকার মানবে। গতকাল যা ছিল তিন, আজ হয়ে গেল ছয়। এটা কোন ম্যাজিক?”

বাম পরিষদীয় দল নেতার বক্তব্য,  তথ্যকে গোপন করে মানুষকে বিপদে ফেলা হচ্ছে। হাওড়া হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে সুজন বলেন, করোনা রুগীকে অন্যদের থেকে আলাদা না করা গেলে সমগ্র হাসপাতালে তা ছড়িয়ে পড়বে। মারা যাওয়ার পর টের পাওয়া যাচ্ছে, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এরাজ্যের (প্রশাসনের) এই অভ্যাস আছে। যেমন, ডেঙ্গুকে 'ডেঙ্গু' লেখা যাবে না। অজানা জ্বর লিখতে হবে। ডাক্তার ডেঙ্গু লিখেছিল বলে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। সুজন বলেন, “মৃত্যুর কারণ কী মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন। মৃত্যুর কারণ যদি মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্ন ঠিক করে, তা অন্যায়, অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক।”

“এটা অন্যায়, অপরাধ। তথ্য গোপন করার মধ্যেই বিপদ বাড়ে। যদি স্বাস্থ্য কমিটি ভুল বলে ব্যবস্থা নিন। যদি, মুখ্যসচিব ভুল বলে ব্যবস্থা নিন। দুজনও সত্য? হয় কোনও দিন? মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা।” – অভিযোগ সুজনের। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুজন জানান, “আপনার তৈরি করে দেওয়া চিকিৎসকের কমিটি আপনার থেকে কম বোঝেন না। কাকে করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করা হবে সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকার যখন গাইডলাইন দিয়েছিল, সেদিন বোঝা গিয়েছিল ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু এখানে ধামা চাপা দেওয়া মনে মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলা।”

করোনার মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে চলতি বিতর্কে এক সুরেই গলা মিলিয়েছে বিজেপি এবং বাম। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বলেছেন, রাজ্য সরকার করোনাকে নিমনিয়া এবং হার্টফেল বলে চালানোর চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে করোনার মৃতের সংখ্যা সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিটির হিসাব কেন মিলছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 9 =