আজ বিকেল: ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক জনসভা নির্বাচনী প্রচার। মানুষকে আকর্ষণ করতে হবে, ভোটটা নিজেদের প্রতীকে পাইয়ে দিতে হবে।তাই নজর কাড়ার বিষয়টি সবথেকে প্রথমে আসে। সেইমতোই চলচে দেওয়াল লিখন। এতই সঙ্গে প্রচারে জৌলুষ আনতে দলীয় পতাকা, দলীয় প্রতীকে তৈরি ব্যাজ, উত্ত্রীয়, টুপি নিয়েও ব্যস্ততা বেড়েছে। এসব তৈরি হচ্ছে হাওড়ার উনসানি দক্ষিণপাড়ায়। একানকার বেশ কয়েকটি কারাখানার কারিগরদের নাওয়াখাওয়া উঠে গিয়েছে। তাঁরা চব্বিশঘণ্টা জেগে শুধু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরি করে চলেছেন।
এই প্রসঙ্গ মুখ খুলে এক কারখানার মালিক জানালেন, ভোটের মুখে প্রতিবারই কাজ বালই আসে, এবার একটু বেশি চাপ পড়েছে। সাাদিন চলছে পতাকা তৈরির কাজ। পাশাপাশি মেশিনেই হয়তো বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, তৃমমূলের পতাকা তৈরি হচ্ছে। তবে রং প্রতীক আলাদা হলেও কাঁচামাল কিন্তু এক জায়গারই। সবই আসচে গুজরাটের সুরাট থেকে। এমনিতেই সুরাটের কাপড়ের গুণমান সর্বজনবিদিত। তায় মোলায়েম, চকচকে কাপড় পেয়ে খুশি বরাত দিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও।
মোদির উপরে ভরসা না থাকুক সুরাটের কাপড়ে কিন্তু প্রত্যেকেরই আস্থা রয়েছে। সিপিএম কর্মী জানালেন, ভাল কাপড়ের পতাকা দরকার, এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। কারখানার মালিক কাপড আনেন তা থেকেই পতাকা হয়। দলের তরফে তো আর পতাকার কাপড় যাচ্ছে না। যদিও বিজেপি কর্মীর দাবি, তৃণমূলই সবথেকে বেশি পতাকা তৈরির বরাত দিয়েছে, তারাই তো মোদিকে বেশি ভরসা করে।