ভোটের মুখে অপসারিত ‘মমতা ঘনিষ্ঠ’ পুলিশ সুপার

কলকাতা: পক্ষপাতের অভিযোগে ভোটের তিন দিন আগে অপসারিত মালদহ জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ৷ তাঁর পরিবর্তে অজয় প্রসাদকে আনা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর৷ বারুইপুরের এসপি ছিলেন অজয়বাবু। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে বলে তাঁকে নির্দেশ দিল কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, মালদহ জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন৷ এই

ভোটের মুখে অপসারিত ‘মমতা ঘনিষ্ঠ’ পুলিশ সুপার

কলকাতা: পক্ষপাতের অভিযোগে ভোটের তিন দিন আগে অপসারিত মালদহ জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ৷ তাঁর পরিবর্তে অজয় প্রসাদকে আনা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর৷ বারুইপুরের এসপি ছিলেন অজয়বাবু। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে বলে তাঁকে নির্দেশ দিল কমিশন।

বিরোধীদের অভিযোগ, মালদহ জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন৷ এই অভিযোগ তুলে কমিশনের নালিশ জানায় বিরোধীরা৷ এছাড়াও নির্বাচনী আধিকারিকদের সুপারিশের ভিত্তিতে ‘মমতা ঘনিষ্ঠ’ অর্ণবকে সরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত৷ ভোটের কোনও কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলে খবর৷

অর্ণব রায়৷ ইতিমধ্যেই সারদা মামলার নাম জড়িয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষের৷ সিবিআই তাঁর সঙ্গে কথা বলে৷ ২০১৩ সালে সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসার পরে রাজ্য সরকার তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার করে আনেন বিধাননগর কমিশনারেটের তৎকালীন কর্তারা। সারদা মামলা নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেট যখন তদন্ত করে, তখন সেখানকার গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন ২০০৬ ব্যাচের আইপিএস অর্ণব। সারদা-কাণ্ডের তদন্ত সহ একের পর এক ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিতর্কে নাম জড়িয়েছে বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষের। বিতর্ক উঠতেই অর্ণব ঘোষকে নদিয়ার পুলিশ সুপার করা হয়৷ পরে, যান মালদহে৷

এই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আগে বহুবার আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ চলতি সপ্তাহে মালদার গাজোলে জনসভা থেকে মুকুল রায় বলেন, ‘‘রাজীব কুমারকে কিছু প্রশ্ন করলেই সে বলে আমি কিছু জানি না৷ সব অর্ণব জানে। অর্ণব জানে মমতার ভজনা করতে। তা করলেই সে বেঁচে যাবে। আর সেই কারণেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোখ বুঁজে বসেছিল।’’

এর আগে প্রথম দফার ভোটের দু’দিন আগেই কোচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দেয় কমিশন৷ এসপিকে অপসারণের প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশনে চিঠি তৃণমূলের৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়৷ কমিশনের চিঠি দিয়ে পদ্ধতি মেনে এসপিকে বদলি করা হয়নি বলেও অভিযোগ জানানো হয় তৃণমূলের তরফে৷

এদিন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ‘কমিশনের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট মুকুল রায়ের নির্দেশে এই বদলি করা হয়েছে৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নেয় বিচার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছে কমিশন৷ সঠিক পদ্ধতি মেনে বদলি করা হয়েছে৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে এসপি কাজ করছিলেন৷ কিন্তু, বিজেপি নেতাদের কথা অনুযায়ী তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷’’ চিঠিতে নতুন এসপি অমিত কুমার সিংকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে৷

আগে ৭ এপ্রিল কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভা থেকে অভিষেক গুপ্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন মুকুল রায়৷ বলেন, ‘কত বড় এসপি, দেখে নেব৷’ মুকুল রায়ের এই ঘোষণার পরই এসপিকে অপসারণের খবরে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে৷ এরপরই প্রথম দফার ভোটের আগে কোচবিহারের এসপি অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 12 =