বাংলার অবস্থা যেন আগের বিহার, বিস্ফোরক স্পেশাল অবজার্ভার

কলকাতা: বাংলার অবস্থা যেন ১০ বছর আগের পুরানো বিহারের মতো৷ আগে বিহারে যে ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হত, এখন বাংলায় ঠিক একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য স্পেশাল অবজার্ভার অজয় ভি নায়েকের৷ আজ, শনিবার বাংলায় ৯২ শতাংশ বুথে বাহিনী নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তিনি৷ নায়েক বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি

বাংলার অবস্থা যেন আগের বিহার, বিস্ফোরক স্পেশাল অবজার্ভার

কলকাতা: বাংলার অবস্থা যেন ১০ বছর আগের পুরানো বিহারের মতো৷ আগে বিহারে যে ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হত, এখন বাংলায় ঠিক একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য স্পেশাল অবজার্ভার অজয় ভি নায়েকের৷ আজ, শনিবার বাংলায় ৯২ শতাংশ বুথে বাহিনী নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তিনি৷ নায়েক বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। এত আধা সেনা মোতায়েন করে ভোটগ্রহণ অভিপ্রেত নয়৷’’ অজয় নায়েকের বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ, ১০ বছর আগে বিহারের যে পরিস্থিতি দেখেছিলেন, সেটাই এখন পশ্চিমবঙ্গে। সে কারণেই এত কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এদিন বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ জানান, আগে বিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হলেও এখন পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে৷ কিন্তু, বাংলায় উল্টো ছবি বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ বাংলার পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলকর নয় বলেও জানান তিনি৷ একই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের উপর কেন মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বাংলার ৯২ শতাংশ বুথে বাহিনী দিয়ে ভোট করানো রেকর্ড বলেও উল্লেখ করেন ১৯৮৪ ব্যাচের এই অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার তথা বিহারের নির্বাচন দপ্তরের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অজয় ভি নায়েক৷ নির্বাচন কমিশনের নিয়োজিত স্পেশাল অবজার্ভারের এই পর্যবেক্ষণ ঘিরে ফের তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার রাজনীতি৷

কোনও অনৈতিক ঘটনার সঙ্গে তুলনা টানতে রাজনৈতিক মহলে খুবই প্রচলিত ছিল বিহার প্রসঙ্গ৷ পুরানোর বিহারের অরাজকতার তুলনা টানা হত বারংবার৷ কিন্তু, এবার সেই বিহারের সঙ্গে বাংলার তুলনা টানলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার৷ এই ঘটনা যে বাংলার রাজনীতিতে বেশ খানিকটা কালী ছিটিয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷

প্রথম দুই দফার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় দফার ভোটের নিরাপত্তা বেশ খানিকটা বাড়াল নির্বাচন কমিশন৷ আজ, কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃতীয় দফায় আশান্তি রুখতে কমপক্ষে ৯২ শতাংশ আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে৷ যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকবে না৷ তৃতীয় দফায় মাত্র ৮ শতাংশ বুথে থাবকে রাজ্য পুলিশ৷ সেখানেও থাকবে কমিনের বিশেষ নজর৷

লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটে ৯০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে পারে বলে আগেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটে মোতায়েন ছিল ১৯৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার তৃতীয় দফার ভোটে সেটি বাড়িয়ে ২৭৪ কোম্পানি বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে৷ এরপর অতিরিক্ত আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হতে পারে৷ মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় দফার ভোটে মোতায়েন থাকবে মোট ৩২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

প্রথম দফার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪০ শতাংশ বুথে কন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত করে কমিশন৷ রায়গঞ্জে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আশ্বাস দিলেও অশান্তি পিছু ছাড়েনি কমিশনের৷ এবার প্রথম ও দ্বিতীয় দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের৷ সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানান, তৃতীয় দফায় বাংলা ভোটের বুথ পাহারার দায়িত্বে থাকবে ৪০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ চতুর্থ দফায় বুথ পাহারার দায়িত্বে থাকবে ৩৮৩ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ পঞ্চম দফায় বুথ পাহারার দায়িত্বে থাকবে ৪০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ষষ্ঠ দফায় থাকবে ৩৯৫ ও শেষ দফায় ৩৪৪ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে৷ পরিসংখ্যান বলছে, বাকি দফাগুলিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুথেই থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + 18 =