আজ বিকেল:মোদি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেননি, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেখেছেন, কথার খেলাপ করেননি। গত তিনবছরে শুধুমাত্র আইটি সেক্টরেই রাজ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার যুবক যুবতী চাকরি পেয়েছেন। না, কোনওরকম মনগড়া হিসেব নয়, ন্যাশনাল আর্কাইভের তথ্যই বলছে, তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত খবরে কোনও জল মেশানো নেই।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,কথা দিয়েও দেশবাসীকে নিরন্তর ঠকিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নোটবন্দির পরে প্রতিশ্রুতি মতো ১৫ লক্ষ টাকা কারোর অ্যাকাউন্টেই যায়নি। ২০১৪-র ভোটে দুকোটি ভারতীয়কে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন মোদি। কিন্তু চাকরি দূরে থাক উল্টে দুকোটি লোকের চাকরি গিয়েছে তাঁর জমানায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির ঠিক উল্টো, কথা দিয়ে কথা রাখেন তিনি। জিএসটি নোটবন্দির জমানাতেও বাংলার যুবসমাজের জন্য সাধ্যমতো কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করেছেন। এই মুহূর্তে উইপ্রো-তে চাকরি করছে ১০ হাজার কর্মী, টিসিএসে ৪১ হাজার, আইবিএমে- ১৫ হাজার, কগনিজেন্টে ২০ হাজার, আইটিসি ইনফোটেকের নতুন পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব শিগগির সেখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। রাজ্যে জিও-র ক্যাম্পাস তৈরির কাজ শেষ হল বলে। তাহলে আরও কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
৭টায় সাতকাহন
প্রথম পর্ব
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সম্বন্ধে কি বললেন ব্রাত্য বসু? দেখুন pic.twitter.com/PqaX8hpoTK
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 1, 2019
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পূর্বতন শাসকদল সিপিএম-কেও একহাত নেন ব্রাত্যবাবু। বলেন, বাম সরকার গত ৩৪ বছরে রাজ্যের কর্ম সংস্থানের পরিকাঠামোকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে থাকলেও শুরুতেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেননি। আগে পরিকাঠামোকে বাঁচাতে হয়েছে। রাস্তাঘাট আলোয় সাজিয়েছেন, কনভেনশন সেন্টার থেকে শুরু করে আন্তার্জাতিক মানের অফিস তৈরি হয়েছে। গততিন বছরের শুধু আইটি-তে নিযোগ হওয়া কর্মী সংখ্যার একটা বিবরণ পেশ হল। ধীরে ধীরে বাকি তথ্যগুলিও প্রকাশ করা হবে।