‘দিদিকে বলো’র ছকে ‘চলো গ্রামে’ কর্মসূচি রাজ্য প্রশাসনের

কলকাতা: রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে এবং গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নতুন কর্মসূচি চালু করল রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু রাজ্য সরকারের বিশেষ কর্মসূচি ‘চলো গ্রামে’৷ দিন কয়েক আগে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক এর সঙ্গে বৈঠকে গ্রামে গ্রামে এই কর্মসূচি রূপায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে৷ সেই

‘দিদিকে বলো’র ছকে ‘চলো গ্রামে’ কর্মসূচি রাজ্য প্রশাসনের

কলকাতা: রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে এবং গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নতুন কর্মসূচি চালু করল রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু রাজ্য সরকারের বিশেষ কর্মসূচি ‘চলো গ্রামে’৷

দিন কয়েক আগে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক এর সঙ্গে বৈঠকে গ্রামে গ্রামে এই কর্মসূচি রূপায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে৷ সেই কর্মসূচি সফল করতে একাধিক প্রয়াস নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে৷ যার মধ্যে রয়েছে, গণশুনানি, (সরাসারি অভিযোগ শোনা ও সমাধান করা), বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান শিবির ও পরিষেবার পরিদর্শন৷

কর্মসূচি অনুযায়ী জেলা শাসক এবং অন্যান্য আধিকারিকরা রাত্রিযাপন করবেন জেলার গ্রামগুলিতে৷ শেষে ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের সঙ্গে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হবে৷ ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷

বৃহস্পতিবার থেকে হুগলিত শুরু হলো এই কর্মসূচি৷ হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফে প্রথম দিন বলাগড় ব্লকে এই কর্মসূচি পালিত হয় ৷ বৃহস্পতিবার থেকে দুদিনের এই কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে প্রথমেই থাকছে গণশুনানি৷

গণশুনানিতে গ্রামের মানুষ তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাবেন৷ ডিএম-সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন উপস্থিত থাকবেন৷ যে সমস্যাগুলির তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব, তা তখনই সমাধান করে দেওয়া হবে৷ জটিল সমস্যাগুলি লিপিবদ্ধ করা হবে ও সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে৷

এই কর্মসূচির মাধ্যমেই সরকারি প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার শিবির হবে৷ স্বাস্থ্যসাথী, কৃষিবন্ধুর মতো সরকারি একাধিক প্রকল্পগুলিতে এখনও যাঁরা নাম নথিভুক্ত করাননি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা ওখানে নিজেদের নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন৷ সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি আধিকারিকদের কাজ নিয়ে অনাস্থা রয়েছে৷ তাই পর্যবেক্ষকদের মতে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি আধিকারিকদের প্রতি আস্থা ফেরাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − two =