আমরা চলি সমুখপানে, কে আমাদের বাঁধবে? খোলা মঞ্চে হুংকার শুভেভেন্দুর

আমরা চলি সমুখপানে, কে আমাদের বাঁধবে? খোলা মঞ্চে হুংকার শুভেভেন্দুর

 

তমলুক: দলে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ পড়েছে তাঁর নাম৷ দলের কর্মসূচিতেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিতি৷ মাঝে চাউর ছিল, তিনি দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন৷ কিন্তু, না! তা পুরোপুরি ভুয়ো খবর ছিল৷ শাসক দলের গুরুপূর্ণ নেতা শুভেন্দু অধীকারীকে নিয়ে হালে কম কম জল্পনা হয়নি৷ এখনও জারি নানান গুনজন৷ তৃণমূলে তাঁর দূরত্ব থেকে বিজেপিতে যোগের জল্পনা, কিছুই বাদ যায়নি৷ এবার অবশেষে নিজেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বাংলার এই নেতা৷ দিলেন যোগ্য জবাব৷

 

রবিবার নিজের দূর্গে পুজো উপলক্ষ্যে একটি জনসভায় অংশ নিয়ে জল্পনা ফের উস্কে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷ নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবে উল্লেখ করে দৃঢ়ভাবে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‌আমার লক্ষ্য, কর্ম, দায়বদ্ধতা থেকে কেউ কোনও দিন সরিয়ে দিতে পারেনি৷ ভবিষ্যতেও পারবে না৷’’ এদিনের সভায় জল্পনা আরও বাড়িয়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা আউড়ে শুভেন্দু জানান, ‘‘‌আমরা চলি সমুখপানে, কে আমাদের বাঁধবে? রইল যারা পিছুর টানে, কাঁদবে তারা কাঁদবে৷’’ জনসভায় শুভেন্দুর এই এগিয়ে যাওয়ার মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷  যদিও এদিনের সভামঞ্চ থেকে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কথা বলেননি শুভেন্দু৷ নেননি নেত্রীর নাম৷ ‘‌তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ’‌ স্লোগানও তাঁর ভাষণে শোনা যায়নি৷ নেত্রীর নাম না নিয়ে নির্বাচনের মুখে কোথায় যেতে চাইছেন শুভেন্দু? কারা পিছনে পরে থাকবে? যদিও এই জবাবটা অবশ্য তুলেই লেখেছে তৃণমূলের এই জননেতা৷

তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যে সবথেকে বড় জননেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ তবে তিনি দীর্ঘ কয়েক মাসধরে তৃণমূলের সভায় হাজির ছিলেন না৷ তাঁকে দলীয় কোনও কাজেও দেখা যায়নি৷ এ নিয়ে গুঞ্জন কম হয়নি৷ দলের অন্দরেরও তৈরি হয়েছে নানান প্রশ্ন৷ তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর দূরত্ববৃদ্ধি থেকে বিজেপি যোগের জল্পনা নিয়ে শুভেন্দু একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন, এমনটাও কিন্তু নয়৷

এর আগে দীর্ঘদিন পর শুভেন্দুকে দেখা গিয়েছিল সরকারি অনুষ্ঠানে৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের সুবর্ন জয়ন্তী ভবনের অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি নতুন মাত্রা দিয়েছিল৷ ওই অনুষ্ঠান থেকে পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন৷ তার মানে কি সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি কিংবা জল্পনায় জল ঢালতেই অনুষ্ঠানে হাজিরা? নতুন  লড়াইয়ের বার্তা দিতেই কি জনভা থেকে ‘সমুখপানে’ চলার বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *