কলকাতা: বিজয়া সম্মিলনীর কার্ডে গেরুয়া রং আর মাথায় রাজস্থানী পাগড়ি দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ফের নড়িয়ে দিল রাজ্য রাজনীতিকে। এ কীসের ইঙ্গিত, সেই নিয়েই সব শিবিরেই চলছে তুমুল জল্পনা। যদিও বিষয়টিকে অন্যভাবেই ব্যাখা করা হয়েছে আয়োজকদের তরফে। মুকে কুলুপ এঁটেছে রাজ্যের শাসক দল।
রাজ্য রাজনীতির প্রতিটা দিনই যেন তাঁর। দিন যতই গড়াচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বেশীরভাগ অনুষ্ঠানে নিজের মন্ত্রী এবং দলের পদ উল্লেখ না করে অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক বা কোনও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসংযোগ করা, আকার ইঙ্গিতে দলকে নিশানা করার মধ্য দিয়ে সেই জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এবার পুরুলিয়া শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের বিজয়ার সম্মিলনীর আমন্ত্রণ পত্র ঘিরে আবার একবার উস্কে দিল প্রশ্ন। তবে কী গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন একদা পূর্ব মেদিনীপুরের অবিসংবিদত তৃণমূল নেতা?
পুরুলিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা একটি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন। সেই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে দলের পরিচয় না রেখেই। ৭ নভেম্বর হবে সেই বিজয় সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেখানে আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে গেরুয়া রং এ এবং শুভেন্দু অধিকারির মাথায় রয়েছে রাজস্থানী পাগড়ি। আয়োজকদের তরফে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানিয়েছেন, দলের নাম দিলে যেহেতু শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি নিতে হত, এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকতে পারতেন না, সেই জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো অবশ্য জানান, তাঁর কাছে এই ধৎণের অনুষ্ঠানের কোনও খবর নেই।
শুধুমাত্র পুরুলিয়াই নয়, এর আগে নন্দীগ্রামেও এই ধরণের অনুষ্ঠান বা জনসংযোগ কর্মসূচী করতে দেখা গিয়েছেস শুভেন্দু অধিকারীকে। সেখানেও দলের পরিচয় না দিয়েই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। একাধিক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দলের উদ্দ্যেশে নানান বার্তা দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের এই নেতা। যদিও তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কি বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া টিকিটেই লড়বেন তিনি, জল্পনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখাই শ্রেয় বলে মনে করছে সব শিবির।