কলকাতা: অভিযোগের বহরে আগের সব দফার ভোটকে ছাপিয়ে গেল চতুর্থ দফার নির্বাচন। সকাল থেকেই ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেরবার কমিশন। একের পর এক গ্রাম থেকে গোলমালের অভিযোগ আসতে শুরু করে। রাজনৈতিক দলের অভিযোগ তো বটেই, সাধারণ মানুষও বহু অভিযোগ জানিয়েছে।
এনজিএস পোর্টাল, সিভিজিল, ১৯৫০ নম্বরে ফোন করে অনেকে অভিযোগ জানান। প্রথম দফায় কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৫২৩টি। দ্বিতীয় দফায় সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০৮। তৃতীয় দফায় অভিযোগ জমা পড়েছিল ৯৮৫টি। আর চতুর্থ দফা অতীতের সব অভিযোগকেই ছাপিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ২,০৬৫টি। এর মধ্যে অবৈধ জমায়েত, ভোটদানে বাধা, বোমাবাজি, মারধর, গুলিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতে জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেয় কমিশন।
গোলমালে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ১৪৫ জনকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছ’টি এফআইআর হয়েছে। পাঁচটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। দুটি জায়গায় প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। গোটা বীরভূম জেলায় ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্র, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্র, আসানসোলের বারাবনি ও পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন করা হোক। একইভাবে সিপিএমের পক্ষ থেকেও রবীন দেব তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। এদিন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে নখদন্তহীন বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।