কলকাতা: ভারতের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ চলে গেলেন৷ প্রবীণ সিপিআই নেতা তথা এআইটিইউসির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্ত ৮৩ বছর বয়সে থেমে গেল৷ ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে সেই সময় অল্প পরিচিত এআইটিইউসিকে সদস্যতার নিরিখে সিপিএমের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন সিটু’র থেকেও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ তাঁর এই কৃতিত্বের কথা হয়তো অনেকেই জানেন না৷
কমিউনিস্ট নেতা হিসাবে দিল্লির দরবারে সমস্ত দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার সদ্ভাব ছিল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ি, সংসদে সকলের প্রিয় ছিলেন, ‘গুরু দাশগুপ্ত’৷ একজন কমিউনিস্ট নেতা হিসেবে সংসদে বার বার আদর্শগত ভাবে বিরোধীদের দিকেও এগিয়ে গিয়েছেন তিনি৷ মমতাকে ডেকে বলতেন, তিনি কিছু বক্তব্য রাখতে যাচ্ছেন, তৃণমূল এমপিরা যেন তাঁকে অসুবিধা না করেন৷
টুজি তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে ছিলেন গুরুদাস৷ সাফ জানিয়েছিলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর ‘কর্তব্যে গাফিলতি’৷ পিসি চাকো’র রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে জবাবি ভাষণ দেন গুরুদাস৷ পারিবারিক মানুষ ছিলেন গুরুদাস৷ দিল্লিতে থাকাকালীন বাড়ির খোঁজ করতেন স্ত্রীকে ফোন করে৷ স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন, সেই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদকে অনুরোধ করেন, এআইএমএসের দুই চিকিৎসক যদি কলকাতায় তাঁর স্ত্রীকে পর্যবেক্ষণ করে যায়৷ ব্যবস্থা করেন গুলাম৷
দিল্লির ক্যানিং লেনে একটি ছোট বাড়িতে তাঁর দিন কাটাত৷ মাঝে মাঝে একটি জামা পরেই কয়েক দিন৷ তবে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে তাঁর লাল বুককাটা সোয়েটার খুব জনপ্রিয় ছিল৷ সারা শীত ওই সোয়েটার চাপিয়ে ঘুরতেন তিনি৷ পরে অবশ্য জানা যায়, একই রকমের দুটি সোয়েটার রয়েছে তাঁর৷