বনধ ডেকে আম জনতা, ছাত্র-যুব’র কী উপকার করলেন, বলতে পারবে বামফ্রন্ট?

বনধ ডেকে আম জনতা, ছাত্র-যুব’র কী উপকার করলেন, বলতে পারবে বামফ্রন্ট?

কলকাতা: বামফ্রন্ট মনে করে ধর্মঘট সফল হয়েছে। কিন্তু, দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে তারা কার উপকার করলেন সেই সদুত্তর পাওয়া গেল কই। বনধ ডেকে ছাত্র, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অসুবিধা করে সাধারণ মানুষের কী উপকার করল তারা জানে। তবে দাবি করা হয়েছে নবান্ন অভিযান করা হয়েছিল সরকারের দুর্নীতি, সাধারণ মানুষের দুর্গতি এবং ছাত্র যুবদের জন্য। নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার খেয়ে রাগে দুঃখে বনধ ডেকে বামফ্রন্ট দাবি করেছে তা সফল।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, “১১ফেব্রুয়ারি ছাত্রযুবদের শান্তিপূর্ণ নবান্ন অভিযানের ওপর কলকাতা পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষার উন্নয়ন, চাকরি ও শূন্যপদে নিয়োগের ন্যায়সঙ্গত দাবির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর ন্যক্কারজনক আক্রমণের প্রতিবাদে  আজকের ১২ঘন্টার হরতাল ধর্মঘট পূর্বাহ্নে প্রচার না করা সত্ত্বেও সাধারণভাবে সফল হয়েছে। দু’একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সর্বত্রই ধর্মঘট জনগণের সমর্থনপুষ্ট হয়েছে। কালকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎ ১২ ঘন্টার ধর্মঘট ডাকার জন্য যে সব নিত্যযাত্রীদের কিছু অসুবিধা হয়েছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু ধর্মঘট জনগণের সমর্থনপুষ্ট হওয়ায় আমরা বাংলার জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”

ফ্রন্টের দাবি, তাৎক্ষণিক প্রচার সত্ত্বেও শুক্রবার ধর্মঘটের প্রভাব দেখা গেছে রাজ্যজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ গতকালের পুলিশী বর্বরতার ছবি দেখে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করেছেন, ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। জেলাগুলিতে পরিবহন ব্যবস্থা থমকে গেছিল, যে সব সরকারী বাস জোর করে চালানো হয়েছে তাতে যাত্রী কম ছিল, অফিস আদালতে হাজিরাও কম ছিল। পণ্যবাহী গাড়িও কম চলাচল করেছে। স্কুল এদিন ১১ মাস পরে খুললেও ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল।

ধর্মঘট সফল করতে শুক্রবার সকাল থেকে পথে নেমেছিলেন বাম, সহযোগী দলসমূহ ও কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের কর্মীরা। ধর্মঘটের সমর্থনে সকাল থেকে শুরু হয় মিছিল, রাস্তা ও রেললাইনে অবস্থান হয়েছে। কলকাতা ও শহরতলি এবং জেলা শহরগুলিতে সকাল থেকে প্রতিবাদ হয়েছে। ব্যাপক পুলিশবাহিনীও নামানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। পুলিশ বহু জায়গায় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের আজকেও গ্রেপ্তার করেছে। অনেকজায়গায় লাঠি চালিয়ে, বলপ্রয়োগ করে অবস্থান আন্দোলনকারীদের আহত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *