Aajbikel

বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার প্রথম বৈঠক সফল! অধীরকে নিয়ে বাকি আলোচনা কবে?

 | 
বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার প্রথম বৈঠক সফল! অধীরকে নিয়ে বাকি আলোচনা কবে?

কলকাতা: বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা নয় কম বাদানুবাদ হয়না। ২০১৬ সালের বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ লড়াই করেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা যায়নি। দু-একটি আসন বাদে সমঝোতা হয়নি। কিন্তু এবার সেই সুযোগ দিতে চায়না উভয় পার্টি। আসন সমঝোতার প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ওই আলোচনায় ঠিক হয়েছে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট যে ৩৩টি আসনে জিতেছিল - সেই সব আসনে তারাই জোটের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আবার কংগ্রেস যে ৪৪টি আসনে জিতেছিল - সেই আসনে তারাই জোটের পক্ষে লড়াই করবে। এইভাবে ৭৭টি আসনের ফয়সালা হয়েছে। বাকি ২১৭ আসন নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বোস, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হাফিজ আলী সাইরানী, আর এস পি সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী, সিপিআই এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ছিলেন না। ২৮ জানুয়ারি অধীর থাকবেন। ২১৭টি আসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা হবে। এদিকে জোর আলোচনা চলছে - ফুরফুরা শরীফের আব্বাস সিদ্দিকী রাজনৈতিক দল করছেন। তিনি বাম - কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন। AIMIM ও বাম কংগ্রেস জোটে থাকতে পারে। বাম-কংগ্রেস নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাতীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিগেড হবে।

বাম-কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ লড়াই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিংবা বিজেপির পথে পথে কাঁটা হতে পারে। বাম কংগ্রেসের মিলিত শক্তি হতে পারে 'কিং-মেকার'। তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি -এর জন্য আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের ভোট ভাগের পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। শেষ কিছু নির্বাচনে  জেলাগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে এই দুই দল দুর্বল হয়ে পড়েছে। শহরেও একই অবস্থা। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই দলের ভূমিকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে বিশ্লেষকরা।

কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা হয়েছিল সিপিআই (এম) এর নেতৃত্বে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর সুখকর চিত্র ছিল না। ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২১১ টি আসন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতা বজায় রাখে। কেউ বাধা দিতে পারেনি। যেহেতু কংগ্রেস জোট থেকে বেশি উপকৃত হয়েছে এবং বামদের ৩৩টি আসনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ৪৪ টি আসন লাভ করেছে। এই জোটটি টেকেনি। মতবিরোধ প্রকাশ পেতে থাকে।

২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল। ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট তারা নিশ্চিত করেছে। যা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২২.৭৬ শতাংশ বেশি। এই ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে কোনও কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তা যে ধর্মীয় মেরুকরণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিধানসভায় বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামদলগুলি ফলাফল বিচার করতে হয় তবে দেখা যাবে বিজেপি প্রায় ১২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৪৩.৬৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসনে জিতেছিল। লোকসভার ফলাফল বিচার করলে ১৬৩টি আসলে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার কথা। আপাতদৃষ্টিতে লোকসভার নিরিখে বিচার করলে বোঝা যায় তৃণমূল অন্তত ৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

Around The Web

Trending News

You May like