কলকাতা: বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহুদূর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি'র 'জনতা কি কারফিউ' একটি বিশ্বাসবর্ধক 'ট্যাবলেট'। যা মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়ে করোনার ওষুধের কাজ করতে পারে। যদিও ভারতের মত একটি তর্কশীল গণতন্ত্রে ১৩০ কোটি মানুষকে 'পেপ-টক' দিয়ে 'ট্যাবলেট' খাওয়ানো সহজ কথা নয়। এক্ষেত্রেও তা হবে না।
যৌক্তিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সেটাও স্বাভাবিক। তাঁরা হয়ত চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খুলাখুলি জানান। কিন্তু, প্রশাসনিক কাজ করতে গেলে সবসময় তা সম্ভব হয় না। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যগুলির সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করছে, সেখানে তা করা সম্ভব হয় না। এতে রাজগুলির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
তবে, জনতা কি কারফিউ এর মধ্যে একটি বিশেষ দিক আছে। সংক্রমণ ছড়ানো একটাকে এটি একটি বিশেষ দিক অবশ্যই। ৫% হলেও সংক্রমণ কম ছড়িয়ে পড়বে এতে। এছাড়া রবিবার হওয়ায় কাজের তেমন ক্ষতি হবে না। যদিও, জনতা কা কারফিউ ঐচ্ছিক ব্যাপার। আপদকালীন পরিষেবা যারা দেন, তারা এই বিষয়টির আওতা থেকে বাইরে থাকতে পারেন।
করোনা নিয়ে আলোচনা খুব সহজ নয়। এই মহামারী মানুষকে শারীরিক ভাবে শেষ করছে। কিন্তু, মানসিক ভাবে যাতে শেষ করতে না পারে, তা দেখা যাক প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য। মোদি তা-ই করতে গিয়েছেন। এটা ঠিক করোনার মহামারীতে ভারতে ৪ জন মৃত। কিন্তু, এই রোগ এখনো এই দেশে ভয়াবহ হতে পারেনি। সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে, দাঁড়িয়ে দেশের জনতার মনোবল বাড়াতে জনতা কারফিউর কথা বলতে চেয়েছেন মোদি। ভারতে কোনও শহর বা রাজ্য অবরুদ্ধ করার পরিস্থিতি আসে নি। সুতরং, মোদির বক্তব্যকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হিসাবেই দেখা উচিত। রাজনীতির রোদচশমা দিয়ে দেখা উচিত নয়।