ওড়িশা: একদিকে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফনি৷ অন্যদিকে জঙ্গলে একের পর তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে মাওবাদীরা৷ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের মাও হামলা৷ বুধববার মহারাষ্ট্রের গাডরিচৌলির পর ফের আজ সকালে ছত্তিশগড়ের সুকমার কিস্তারেমো গ্রামে। আজ মাওবাদিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২জন স্থানীয় বাসিন্দা। এর আগে গতকালই গাডরিচৌলিতে মাওবাদি হামলায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন পুলিস কর্মী। ভোটের মধ্যে বারবার মাও হামলার জেরে উদ্বিগ্ন দেশবাসী।
বুধবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন ১৫ জন পুলিশ কর্মী। নিহত হয়েছেন ওই গাড়ির চালকও। লোকসভা ভোটের মধ্যে হওয়া এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। বুধবার গড়চিরৌলির কুরখেদার কাছে জাম্বোরখেদা এবং লেন্দরির মধ্যবর্তী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে যায় পুলিশের গাড়ি। ওই গাড়িটিতে ছিলেন কুইক রেসপন্স টিমের মোট ১৬ জন কর্মী। বিস্ফোরণের জেরে গাড়িটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এরপর আহত পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা।
Chhattisgarh: Two villagers were killed by Naxals in Kistaram area of Sukma district last night.
— ANI (@ANI) May 2, 2019
Maharashtra: DGP, IG, SP Gadchiroli, Collector Gadchiroli, and anti-naxal operation officials reach Gadchiroli naxal attack site, where 15 security personnel and 1 driver lost their lives yesterday. pic.twitter.com/hQG8XXNFZL
— ANI (@ANI) May 2, 2019
অধিকাংশ পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলেই শহিদ হলেও গুরুতর জখম অবস্থায় কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদেরও মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র দিবস। তারমধ্যেই বুধবার সকাল থেকে গড়চিরৌলির একাধিক এলাকায় হামলা চালায় মাওবাদীরা। পুরাদা-ইয়রেকার ১৩৬ নম্বর জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত প্রায় ২৫টির বেশি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় মাওবাদীরা। পাশাপাশি রাস্তা নির্মাণের জন্য আনা ২৭টি মেশিনেও আগুন লাগানো হয়।