কলকাতা: চার নেতা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে স্বেচ্ছায় অব্যহতি চেয়ে নিয়েছেন। তাঁরা হলেন- নৃপেন চৌধুরী, দীপক দাশগুপ্ত, গৌতম দেব ও মানব মুখার্জি। মানব মুখার্জি বাদ দিয়ে বাকিদের বয়স্ক বলা চলে। কেউ বা রোগভোগে আছেন। পার্টি সূত্রে খবর, মানব মুখার্জিও শারীরিক অসুস্থতার জন্যই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
সিপিএমের রাজ্য কমিটি সূত্রে খবর, দুদিনের বৈঠক বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। শেষ হবে শুক্রবার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বিমান বসু। বৈঠকে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শুধুই কী শারীরিক অসুস্থতায় নিজেকে সরিয়ে নিলেন মানব? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? অনেকেই বলছেন, কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক না হতে পেরে খুশি ছিলেন না মানব। তার উপর শারীরিক অসুস্থতাও বড় একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সিপিএমের ভিতর ৭৫ বছরের বয়স্ক কমরেডদের অব্যবতি দেওয়ার পক্রিয়া শুরু হয়েছে। পার্টির প্লেনামে সেই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী হল সিদ্ধান্ত নির্ণায়ক। কিন্তু একজন জেলা সম্পাদকের দাপট পার্টিতে অনেক বেশি। মানবের ক্ষেত্রে অসুস্থতা এবং ক্ষোভ দুই-ই কাজ করেছে। তিনি কলকাতা জেলা কমিটির ভোটাভুটিতে হেরে গিয়েছেন।
যে চার জন চলে গিয়েছেন তাদের জায়গায়, সম্পাদকমন্ডলীর দুই আমন্ত্রিত সদস্য অনাদি সাহু ও সুমিত দে সম্পাদকমন্ডলীর পূর্ণ সদস্য হয়েছেন। এছাড়াও কল্লোল মজুমদার ও পলাশ দাশ সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এবং শমীক লাহিড়ী স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হয়েছেন। রাজ্য কমিটিতে একটি স্থান আগেই শূন্য ছিল। সেখানে বীরভূমের শ্যামলী প্রধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন পরেশ পাল, সৈয়দ হোসেন, অলকেশ দাস, ময়ূখ বিশ্বাস, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকুর রহমান, মীনাক্ষি মুখার্জি, সর্বানীপ্রসাদ সাঁতরা। ময়ূখ বিশ্বাস, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকুর রহমান – এসএফআই থেকে এবং মীনাক্ষি মুখার্জি ডিওয়াইএফআই থেকে এসেছেন। সিপিএমে নতুন রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করেছে৷