আলিপুর: ফের আক্রান্ত বাম প্রার্থী৷ প্রচারে বেরিয়ে এই দিয়ে দু’বার আক্রান্ত হলেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম৷ ডাঃ ফুয়াদ হালিমকে রাস্তায় ফেলে লাঠি-বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ৷ ঘটনায় জখম হয়েছে তিনি৷ প্রার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম আরও এক বাম কর্মী৷ গোটা ঘটনার দায় তৃণমূলের উপর চাপানো হলেও অস্বীকার শাসকদলে৷ বামেদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ৷ মিছিলে অনুমতি ছিল না দাবি প্রশাসনের৷
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গুরুদাসনগরের বদরতলায় প্রচারে যান ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম৷ অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন অচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতী প্রার্থী ও তাঁর পার্টিকর্মীদের মারধর করে৷ একই সঙ্গে তাঁদের গ্রামের মধ্যে ঘণ্টা তিনেক আটকে রাখা হয়৷ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলেও তাঁদের উদ্ধারে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ৷
এদিন সংবাদমাধ্যমে ডাঃ ফুয়াদ হালিম বলেন, ‘‘পরাজয়ের আতঙ্কে ভুগছে তৃণমূল৷ আর সেই কারণে আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে৷ রাস্তায় ফেলে আমাদের মারধর করা হয়েছে৷ গ্রামের মধ্যেই আমাদের আটকে রাখা হয়েছিল৷ পরে পুলিশ গেলেও অসহযোগিতা করে৷’’
এদিনের এই হামলার দায় অস্বীকার করে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘বাম কর্মীরাই তৃণমূলের মিছিলের উপর আক্রমণ করে৷ ওদের কোনও অনুমতিই ছিল না৷ বাম কর্মীদের হামলায় আমাদের এক কর্মী জখম হয়েছে৷ আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি দাবি করছি৷ একই সঙ্গে ফুয়াদ হালিমের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করছি৷’’
অনুমতি না নিয়ে মিছিল করা অভিযোগ প্রসঙ্গে ফুয়াদ হালিম বলেন, ‘‘আমরা সুবিধা অ্যাপসের মাধ্যমে মিছিলের অনুমতি নিয়েছিলাম৷ কমিশনের ওয়েবসাইটেও তা দেখা যাবে৷ আমাদের উপর হামলার ভিডিও রয়েছে৷ সেটা দেখলে বোঝা যাবে, কারা হামলা চালিয়েছে৷’’
প্রার্থীর উপর হামলা ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সম্পাদক শমীক লাহিড়ী৷ বলেন, ‘‘তৃণমূল সর্বত্র হামলা চালিয়ে প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু, মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন৷ প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আরও জোরালো হবে৷’’