কলকাতা: ফের জারি সংঘাত৷ এবার জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কার্যত অপমানজনক ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ আজ ধামাখালি প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসককের খোঁজ করেন রাজ্যপাল৷ কিন্তু তাঁকে না দেখে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি৷ একইসঙ্গে অপমানজনক বলেও আখ্যা দেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷
কেননা, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের প্রটোকল অনুযায়ী রাজ্যপালের জেলা সফরের সময় স্থানীয় জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান৷ সে ক্ষেত্রে জেলাশাসকরা এই কাজ করে থাকেন৷ ঠিক যেমন রাষ্ট্রপতির রাজ্য সফরে এলে সেই রাজ্যের রাজ্যপাল তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হয়ে যান৷ এক্ষেত্রেও রাজ্যপাল যদি কোনও জেলা সফরে যান, সেখানেও জেলার জেলাশাসক কিংবা উচ্চপদস্থ আধিকারিক তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন এটাই শ্রেয়৷
অভিযোগ, রাজ্যপালের ধামাখালি প্রশাসনিক বৈঠকে সেই প্রটোকল ঠিকঠাক মানা হয়নি৷ জেলাশাসকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে তুলে রাজ্যপাল অপমানিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন৷ রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক ও শাসক তৃণমূলের গরহাজিরা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷ জানান, ‘‘আমার সফরের কথা আগেই জানানো হয়েছিল৷ যেকোনো জায়গাতেই যেতে পারেন রাজ্যপাল৷ আমার সফরের আগে সবাইকে গত ১৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়৷ কিন্তু, ২১ তারিখ একটি চিঠি দেন জেলাশাসক৷ জনপ্রতিনিধিদের ডাকতে গেলে রাজ্যের অনুমতি লাগবে৷ চিঠিতে জানান ডিএ৷ এতে আমি বিস্মিত৷’’
West Bengal Governor on meeting with district officials of North24 Paraganas: My visit was notified to Dist Administration on Oct 17. District Magistrate replied that action can be taken after permission from state govt. It’s unconstitutional. I’m not subordinate to state govt. pic.twitter.com/vLYuWYuXOc
— ANI (@ANI) October 22, 2019
এর আগেও শিলিগুড়িতে ও একই ঘটনা ঘটেছিল৷ কিন্তু সেখানে শাসক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল৷ একই সঙ্গে পুলিশের প্রশাসনের গরহাজিরা নিয়েও তোলেন প্রশ্ন৷ ওই দিন উষ্মা প্রকাশ করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, এবার তিনি গোটা রাজ্যজুড়ে একই ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন৷ এবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির পর সুন্দরবন সফরে যান রাজ্যপাল৷