কলকাতা : লোকসভা ভোটে কেন বিপর্যয়? জানতে আজ শনিবারই বৈঠক ডাকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিকেল ৪টেয় কালীঘাটে তৃণমূলের রিভিউ মিটিং। দলের ৪২জন প্রার্থী, সব জেলা সভাপতি সহ রাজ্যে মন্ত্রী ও নেতাদের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার, বিয়াল্লিশে ৪২ করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শুরু হতেই অন্য ট্রেন্ড দেখা যায়। তৃণমূলকে সমানে সমানে টক্কর দিতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। বেলাশেষে দেখা যায়, জোড়াফুলের থেকে বহু আসন কেড়ে রাজ্যে প্রভুত শক্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। কিছু জায়গায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারাও পরাজিত হন। কিন্তু কোথায় সমস্যা? তা জানতেই শবিরাই পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্য জুড়ে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। ভোট প্রচারে গিয়ে বারাবার সেকথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
এমনকী, ক্ষমতায় আসার পর থেকে কার্যত নবান্নকে বাক্সবন্দি করে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন মমতা। সরাসরি শুনেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের সমস্যার কথা। অন দ্য স্পট সমাধানের উপায়ও বাতলে দিয়েছেন বেশিরভাগ সময়। তাহলে, কোন ফাঁক গলে রাজ্যে প্রবেশ করল গেরুয়া হাওয়া? তাহলে, কি গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব? না কি দুর্নীতি? তৃণমূল নেত্রী সততা নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও, তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের সব স্তরের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট রাজের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। তাহলে কি সেই জুলুমের প্রভাবেই তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা।
কোথায় গলদ, তা জনতেই শনিবার বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী।২০২১-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার ফেলার পরিকল্পনা করতে পারে বিজেপি। সেই বিপর্যয় এড়াতে এবার তৃণমূল নেত্রী আঁটঘাট বাঁধতে চাইছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতা আগে, জানিয়েছিলেন, যাঁরা দল ছাড়তে চান, তাঁদের তিনি আটকাবেন না। কিন্তু দলে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা যেন একনিষ্ঠ কর্মী হন। এবার সেই বাহিনী তৈরি করতেই কোমর বাঁধছেন মমতা। সেই কারণে দলের এই ফলের পরে বৃহস্পতিবার দুপুর, গণনার মাঝপথে একটা টুইট করার পরে, আরও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। করেননি সাংবাদিক বৈঠকেও। এখন কালীঘাটের শনিবাসরীয় বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।