মেলেনি সরকারি সাহায্য, অনাহারে ধুঁকছে শান্তিপুরের মুখুজ্জে পরিবার

আজ বিকেল: প্রধানমন্ত্রী যখন গ্রামীণ ভারতকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে এগিয়েছেন তখনও বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির পীঠস্থান শান্তিপুরে না খেয়ে মৃতপ্রায় একই পরিবারের তিনজন। এই ভোটের বাজারেও তাঁদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার দায়িত্ব নেওার চেষ্টা করেননি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কাউন্সিলর জানেন না তাঁর এাকায় না খেয়ে মৃতপ্রায় একই পরিবারের তিন ভাইবোন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রচার

0b08d6db6564c9af5d88b8859ac2e789

মেলেনি সরকারি সাহায্য, অনাহারে ধুঁকছে শান্তিপুরের মুখুজ্জে পরিবার

আজ বিকেল:  প্রধানমন্ত্রী যখন গ্রামীণ ভারতকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে এগিয়েছেন তখনও বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির পীঠস্থান শান্তিপুরে না খেয়ে মৃতপ্রায় একই পরিবারের তিনজন। এই ভোটের বাজারেও তাঁদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার দায়িত্ব নেওার চেষ্টা করেননি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কাউন্সিলর জানেন না তাঁর এাকায় না খেয়ে মৃতপ্রায় একই পরিবারের তিন ভাইবোন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এগিয়ে বাংলার ফিরিস্তি শোনাচ্ছেন তখনও কিন্তু খিদের জ্বালায় একটু একটু করে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে যাচ্ছেন একদা বর্ধিষ্ণু মুখুজ্জে পরিবারের তিন উত্তরাধিকারী। এর দায়ভার কার সে প্রশ্ন না হয় এখন তোলাই রইল।

জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের ১৯/৩ ডাবরে পাড়া লেন হচ্ছে মুখার্জি পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা। এখানেই না খেতে পেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন শান্তিপুর কলেজের নামকরা অধ্যাপক প্রয়াত পরমানন্দ মুখার্জির তিন সন্তান। ছেলেরা দেবাশিস ও  দেবাশিস ও বিশ্বজিৎ এবং নমিতা মুখার্জি। অধ্যাপক মহাশয়ের কোনও ছেলেমেয়েরই বিয়ে হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর নিজেদের বসতভিটেতেই থাকতেন তিনজনে। শিক্ষিত পরিবারটিকে নিয়ে এলাকাবাসীর খুব একটা মাথাব্যথা ছিল না। এদিকে সময়ের ভারে বয়স বাড়ে তিনজনের, ৬০-র কোঠা ছাড়িয়েছেন। এখন আর কাজকর্ম করে খেতে পারেন না। কোনও কাজের লোকও নেই। বিয়ে না করায় বর্তমান প্রজন্ম বলতে মুখার্জি বাড়িতে কেউই নেই। এমতাবস্থায় হাতপুড়িয়ে রান্না করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কিন্তু টাকা পয়সা নেই য়ে খাবার আসবে থাকলেও বা একে এনে দিত। তিনজন যে প্রায় অথর্ব হয়ে পড়েছেন, দিনের পর দিন না খেয়ে অস্থিচর্ম সার চেহারা নিয়ে শয্যা নিয়েছেন তিনজনে। এলাকার কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ভার নিলেও তা কতদিনের জন্য ঠিক নেই।

যখন গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকাবাসীর থেকে ভোট জিততে রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিযোগিতায় নেমেছে তখন কি না একটি পরিবারের খবরই রাখেন না এলাকার কাউন্সিলর। এই ভোটের মরশুমে সমর্থন চাইতে কেউই মুখার্জিদের বাড়িতে যায়নি। এদিকে দিনের পর দিন সংস্কার না হওয়ায় যেকোনওদিন বাড়িটি ভেঙে পড়বে। কোনওরকম সরকারি সহায়তা মেলেনি। তবুও সাহায্যের আশায় এখনও সহানুভূতি চাইছে গোটা পরিবারটি।  শুভাকাঙ্খীদের যোগাযোগের জন্য রইল ফোন নম্বর 9475165177।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *