কোচবিহার: করতেন লালপার্টি৷ পরে দলবদল করে হয়েছেন সবুজ৷ দলবদল করেই মেয়ের চাকরিটাও নিশ্চিত করে ফেলেছেন৷ কিন্তু, সর্বহারাদের পার্টি করে হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ দলবদল করা তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী৷ নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় পরেশ অধিকারী জানিয়েছেন তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ৷ হলফনামায় জনানো সম্পত্তির পরিমাণ ঘিরে পরেশকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া বির্তক৷ চমকে ওঠার মতো সম্পত্তি করে ফেলেন একদা ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা৷
প্রথম দফার নির্বাচনে দুই কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার আর কোচবিহার মিলিয়ে মোট ১৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ প্রথম দফার নির্বাচনে ১৮জন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীই কোটিপতি, পরেশচন্দ্র অধিকারী। কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী৷ হলফনামায় পরেশ অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর সম্পদ ৪কোটি টাকার বেশি, তাঁর গড় সম্পদের পরিমাণ ৫৫.৬৩লক্ষ টাকা।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় পরেশ অধিকারী ‘এসএসসি’তে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে ‘ডিপেন্ডেন্ট’ হিসাবেই দেখিয়েছেন৷ তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে কোচবিহারের ‘মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে’ শিক্ষক হিসাবে যোগ দিলেও তিনি এখনও ‘ডিপেন্ডেন্ট’। ‘ডিপেন্ডেন্ট’ অঙ্কিতা অধিকারীর হাতে যদিও নগদ টাকা রয়েছে ১৫হাজার ৫৫০ টাকা আর তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীর কাছে হলফনামা জমা দেওয়ার সময় পর্যন্ত হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ ৪লক্ষ ২১হাজার ৫৪২। ২০১৬ সালে পরেশবাবু কমিশনকে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছিলেন আড়াই কোটি টাকা৷ কিন্তু, মাত্র তিন বছরে আড়াই কোটি থেকে ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি কীভাবে? প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷