কলকাতা: লোকসভায় কোনো প্রকারে উতরে যাওয়ার পর এবার ২১-এ বিধানসভার পরীক্ষা৷ ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের সাজেশন, প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে বিগত পাঁচ মাস উদয়াস্ত পরিশ্রমের ফল হাতে এল তৃণমূলের৷ একেবারে দশে ছয়৷ মূলত উত্তরবঙ্গে ভরাডুবির পর ফের একবার উঠে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার ফল৷
কারণ এখানে ২৮টির মধ্যে ২৪টি কেন্দ্রেই হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের৷ রাজগঞ্জ, সিতাই, শীতলকুচি ও চোপড়া-এই ৪ কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও সেভাবে তৃণমূলের প্রভাব চোখে পড়েনি৷ তাই ঘুরে দাঁড়াতে শুরুটাও সেভাবেই করেছিলেন৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি মমতা৷
এরপর ২৯ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় পিকে-র পরিকল্পনামাফিক কর্মসূচি৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি৷ এতেই সারা পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে৷ উঠে আসে ‘কাটমানি’ তত্ত্ব৷ দলীয় কর্মীদের অস্বস্তি বাড়িয়ে অনেকটাই সফলতা আসে৷ দলের বিধায়কদের কাজেও পরিবর্তন আনা হয়৷ কাউন্সিলর থেকে ব্লক স্তরের নেতাদেরও একইভাবে কর্মপদ্ধতি মেপে দেওয়া হয়৷ এর ভিত্তিতে এই চার মাসে উত্তরবঙ্গে স্থিতি ফিরিয়েছে তৃণমূল৷
প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্ট বলছে, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ১০টি কেন্দ্রর মধ্যে ৬টি কেন্দ্রেই আশানুরূপ ফল মিলেছে৷ আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটাতেও ভিত আগের থেকে মজবুত৷ পিকে-র মতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের লড়াইয়ের লক্ষ্য জাতি৷ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল৷ উত্তরবঙ্গে চাবাগান অধ্যূষিত অঞ্চলগুলিতে আদিবাসী ও আঞ্চলিক জনগনের মানসিকতা বুঝে পদক্ষেপ নিতে হবে৷ সম্প্রতি আবারও উত্তরবঙ্গ সফর তৃণমূল নেত্রীর৷ আগামীদিনে ভোটগুরুর পরামর্শ কতটা আশাব্যঞ্জক হয় সেটাই দেখার৷