কলকাতা:দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে সিবিআইয়ের CGO কমপ্লেক্সে হাজির হতে পারেন রাজীব কুমার৷ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির হতে পারেন তিনি৷ এর আগেও রাজীব কুমার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও এই প্রথম তিনি সিবিআইয়ের কলকাতার দপ্তরে হাজির হতে পারেন এই আইপিএস অফিসার৷
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ফের রাজীব কুমারের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক৷ রাজীব কুমারের বাসভবন ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা৷ সেখানে গিয়ে রাজীব কুমারের হাজিরা নিয়ে যান অধিকারিকরা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে আজ হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷
গত ৩০ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একগুচ্ছ শর্তের ভিত্তিতে রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়৷ বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব কুমারের উপর বেশ কিছু কড়া শর্ত আরোপ করেন৷ যা কর্মরত পুলিশকর্তার ক্ষেত্রে রাজ্যে আগে কখনও আরোপিত হয়নি৷ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজীব কুমারকে তাঁর পাসপোর্ট সিবিআইয়ে কাছে জমা করতে হবে৷ কলকাতা ছাড়তে পারবেন না রাজীব৷ থাকতে হবে নিজের বাসস্থানেই৷ তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করতে হবে৷
গত ১৭ মে রাজীবের ওপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেয় দেশের শীর্ষ আদালত৷ তবে, নিম্ন আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিতে পারেন বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ রাজ্যের আদালত বন্ধ থাকার কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানান রাজীব কুমার৷ সেখানে খারিজ হয়ে যায়৷ সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়ে বারাসত আদালতে ছুটতে হয় তাঁকে৷ সেখানেও কর্মবিরতির জন্য মামলা দায়ের করা যায়নি৷ পরে, কর্মবিরতি প্রত্যাহার হতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজীব কুমার৷ হাইকোর্টের তরফে গুচ্ছ শর্তের ভিত্তিতে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত রাজীবকে গ্রেপ্তারির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷