কলকাতা: আদালতের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেদখল রবীন্দ্র সরোবর৷ নিষ্ক্রিয় পুলিশ৷ জনতার চাপের কাছে মাথা নত করে রবীন্দ্র সরোবরের মূল ফটক খুলে দিয়ে বিতর্কে পুলিশ৷ দিনভর দেখা গেল না কোনও পুলিশি তৎপরতা৷ পরিবেশ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো উদযাপনের জেরে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা৷
গতকাল রাত ১২ থেকে সোমবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই মতো কলকাতা পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়৷ আজ সকাল থেকে রবীন্দ্র সরোবরে ১৫ টি গেট বন্ধ রাখা হয়৷ কিন্তু সকালে পুলিশের সামান্য তৎপরতা চোখে পড়লেও বেলা গড়াতেই উধাও পুলিশ৷ আর সেই সুযোগে শুরু হয় বহিরাগতদের তাণ্ডব৷ রবীন্দ্র সরোবর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বড় পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে রবীন্দ্র সরোবরের গেট লাথি মেরে ভাঙা হয় গেট৷ পুলিশি তৎপরতায় না থাকায় রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়েন পুণ্যার্থীরা৷ সংরক্ষিত জলাধারে শুরু হয় সূর্যদেবের পুজো৷ জলে তেল, ঘি ডেলে চলে ছটপুজো৷ স্নান থেকে কাপড় ধোয়া, সবই চলতে থাকে পরিবেশবিধি না মেনে৷ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনও তৎপরতা না থাকায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা৷
আজ সকালে রবীন্দ্র সরোবরের গেটের বাইরে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা থাকলেও বেলা গড়াতেই উধাও হয়ে যান তাঁরা৷ গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে দিনভর সম্প্রচার করার পর বিকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ৷পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখে পুলিশের গাড়ি এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায়৷
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও কেন রবীন্দ্র সরোবর রক্ষা করতে পারল না পুলিশ৷ কেন পুলিশ তৎপরতা দেখা গেল না৷ রাজপথে নেমে যখন চাকরিপ্রার্থী থেকে শিক্ষকরা বিক্ষোভ দেখান, প্রতিবাদ করেন, তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাঁদের হটিয়ে দিতে পারে৷ কিন্তু পরিবেশ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ রবীন্দ্র সরোবর রক্ষা করতে পারল না? প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশ কর্মীদের একাংশ৷ তাদের অভিযোগ, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ রক্ষা করার কাজ যাদের, সেই পুলিশকর্মীরা সকাল থেকে কেন উধাও হয়ে গেলেন?