‘কলেজের গেট তো বন্ধ ছিল, তাহলে হামলা চালালো কে?’

কলকাতা ও নয়াদিল্লি: অমিত শাহের ব়্যালিতে হামলা প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বিদ্যাসাগর কলেজে হামলার পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা দিলীপের৷ হামলার পর সংবাদমাধ্যমে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘মিছিল যখন যাচ্ছিল, তখন আমার সামনেই ইটের ঘায়ে দু’জনের মাথা ফাটে৷ কলেজের মধ্য থেকে ইট ছোড়া হয়৷ তাতেই আমাদের কয়েকজন আহত হয়৷ আচ্ছা, এত তো চ্যালেনে সবাই

‘কলেজের গেট তো বন্ধ ছিল, তাহলে হামলা চালালো কে?’

কলকাতা ও নয়াদিল্লি: অমিত শাহের ব়্যালিতে হামলা প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বিদ্যাসাগর কলেজে হামলার পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা দিলীপের৷ হামলার পর সংবাদমাধ্যমে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘মিছিল যখন যাচ্ছিল, তখন আমার সামনেই ইটের ঘায়ে দু’জনের মাথা ফাটে৷ কলেজের মধ্য থেকে ইট ছোড়া হয়৷ তাতেই আমাদের কয়েকজন আহত হয়৷ আচ্ছা, এত তো চ্যালেনে সবাই দেখাচ্ছে, কিন্তু কেউ কি দেখেছেন, বিজেপি কর্মীরা কলেজে ঢুকে ভাঙচুর করেছে? কলেজের গেট ভেতর থেকে বন্ধ ছিল৷ তাহলে ভাঙচুর হল কীভাবে?’’

অন্যদিকে, অমিত শাহের ব়্যালিতে হামলা, পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবি জানাল বিজেপি৷ আজ, রাতে কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানান মুক্তার আব্বাস নাকভি ও নির্মলা সীতারমন৷

কমিশনে গিয়ে বিজেপির তরফে বলা হয়, ‘‘বাংলায় গণতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে তার দলের লোকদের হামলার জন্য প্রভাবিত করছে৷ আজ, অমিত শাহরে কলকাতার ব়্যালিতে হামলা চালানো হয়েছে৷ আমাদের বেশ কয়েকজন জখম৷ এই ঘটনা পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবেন৷ মমতাজি নিজেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে৷ এই পরিস্থিতি আমরা চাই, মুখ্যমন্ত্রীর উপর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক নির্বাচন কমিশন৷’’

আজ বিবেকানন্দ কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন ধরনের রাজনৈতিক দাঙ্গা আমি আগে কখনও দেখেনি৷ কলেজটা পুরো ভাঙচুর করেছে৷ এই ঘটনার নিন্দা জানানো ভাষা নেই আমার৷ আমরা এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করব৷ এমন ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের ছেড়ে কথা বলব না৷’’ এদিন সিপি বলেন, ‘‘আমরা ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি৷ আমরা এর তদন্ত করে দেখছি৷’’

অমিত শাহর রোড শো’র মাঝেই ধুন্ধুমার বাধে কলেজ স্ট্রিটের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। মঙ্গলবার অমিত শাহর পদযাত্রা যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছায় তখন সেখানে টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল৷ এর পালটা হিসাবে বিজেপি-র ওই পদযাত্রা থেকেও কর্মী সমর্থকরা ইঁট, পাথর, লোহার রড, বাঁশ, লাঠি জলের বোতল সবই ছোঁড়েন। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে মারমুখি হয় ওঠেন পড়ুয়ারাও। তবে পদযাত্রা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

‘কলেজের গেট তো বন্ধ ছিল, তাহলে হামলা চালালো কে?’পদযাত্রা বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে গেলে সেখানেও চলে ইটবৃষ্টি৷ অভিযোগ, কলেজের ভিরত থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়৷ পাল্টা হামলা চালায় বিজেপি৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হন৷ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে৷ অভিযোগ, পাঁচিল টপকে বিজেপি সমর্থকরা বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়৷ ভাঙা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি৷ কলেজের বাইরে থেকে পাল্টা ইট, বাঁশ, লাঠি ছোড়া হয়৷ পরে, কলেজের বাইরে থাকা তিনটি বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৷ কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ৷

এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে অমিত শাহের অভিযোগ, রোড শো ভণ্ডুল করতে তৃণমূলের গুন্ডারা এই হিংসা ছড়িয়েছে৷ পদপৃষ্ট করিয়ে মানুষ মারতে চেয়েছিল শাসক দল! বলেন, ‘‘কলেজের ভিতর থেকে কালো ঝান্ডা নিয়ে বেরিয়ে আসে তৃণমূলের গুন্ডারা। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি৷ তৃণমূলের গুন্ডা ও আমাদের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে৷ আজ মিছিলে ভিড় দেখে তৃণমূলের গুন্ডারা মরিয়া হয়ে ওঠে৷ আর সেই কারণে এই হামলা৷ আজ মানুষকে পদপৃষ্ট করে মারার পরিকল্পনা করেছিল। প্ররোচনা সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে রোড শো। এজন্য বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − five =