বিজেপির মুখোশ খুলে NRC ইস্যুতে ফের বিদ্রোহ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রতিবাদে এবার টুইটারে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে নাম না করে বিজেপির মুখোশ খুলে দেওয়ারও বার্তা দেন৷ একইসঙ্গে অসময়ের বঞ্চিত নাগরিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে গিয়ে আজ এই এনআরসির বিপর্যয়৷ সময় এসেছে, এবার তাদের মুখোশ খুলে

বিজেপির মুখোশ খুলে NRC ইস্যুতে ফের বিদ্রোহ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রতিবাদে এবার টুইটারে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে নাম না করে বিজেপির মুখোশ খুলে দেওয়ারও বার্তা দেন৷ একইসঙ্গে অসময়ের বঞ্চিত নাগরিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে গিয়ে আজ এই এনআরসির বিপর্যয়৷ সময় এসেছে, এবার তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে৷ এনআরসির বিপর্যয়ের জন্য দেশের মানুষ তাদের জবাব দেবেই৷ আসলে অসৎ উদ্দেশ্যে কোন কাজ করলে এমনই বিপর্যয় ঘটে৷’’

অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী থেকে বাদ পড়েছেন অন্তত ১৯ লক্ষ মানুষ৷ কিন্তু, যাঁদের নাম বাদ পড়ল তাঁদের কী হবে? তাঁদের কি নো ম্যানস ল্যান্ডে কেটে ফেলে দেওয়া হবে? কেন্দ্রকে বিঁধে এনআরসি ইস্যুতে দলের অবস্থান জানালেন ফিরহাদ হাকিম৷

সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আমরা অসমবাসীর পাশে আছি৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে আছেন৷ এই ১৯ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যত কী হবে? ৪০ লক্ষ থেকে নেমে এখন ১৯ লক্ষে দাঁড়িয়েছে৷ কিন্তু মানুষ তো মানুষ থাকে৷ তাঁকে তো আর আকাশে ওড়ানো যাবে না৷ যদি তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় ভারতবর্ষ থেকে তাঁরা কোথায় যাবেন? শেখা হাসিনা নেবেন? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে? তাহলে কী হবে এঁদের৷ রোহিঙ্গাদের মতো নো ম্যানস ল্যান্ডে কেটে ফেলে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের উত্তর ভারত সরকারকে দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে খুব উদ্বিগ্ন৷ আমরা অসমের মানুষের পাশে আছি যাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন৷’’

দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে প্রকাশ হল অসমে চূড়ান্ত এনআরসির তালিকা৷ ওয়েবসাইটে এনআরসির তালিকা প্রকাশ হয়েছে৷ কিন্তু শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ওয়েবসাইট৷ সার্ভারের উপর চাপ পড়ে যাওয়ায় খুলছে না এনআরসির ওয়েবসাইট৷ আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন অসমের কয়েক লক্ষ জনতা৷

এনআরসির তালিকা ঘিরে বিতর্ক ও অশান্তির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ২০ হাজার অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে মোতায়েন করা হয়েছে৷ জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা৷ মাইকে মাইকে প্রশাসন গুজবে কান না দেওয়ার প্রচার শুরু করেছে৷ কন্ট্রোলরুম খুলেছে রাজ্য পুলিশ৷ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর কেউ আতঙ্কিত হবেন না৷ রাজ্যজুড়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে৷ গুজবে কান দিতে রাজ্যবাসীকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, এই তালিকায় ২০ লক্ষ নাগরিকের নাম নতুন করে তোলা হয়েছে৷ ১৯ লক্ষ ছ’হাজার নানুষের নাম বাদ পড়েছে পড়েছে৷ তালিকায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের নাম৷ (এই লিঙ্কে দেখুন NRC তালিকা- https://www.thefinalnrc.com/FinalNRC/Draft.htm)

ইতিমধ্যেই আজ বেলা ১০টায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে৷ এই চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম উঠবে না তাঁদের জন্য আরও ১২০ দিনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ নথিপত্র দেখিয়ে ফের নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে অসম প্রশাসনের তরফে৷ ইতিমধ্যেই এনআরসির খসড়া তালিকায় ৪০ লক্ষ্য নাগরিকের নাম না ওঠায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক৷

এবার ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশিত না হওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ গোটা পরিস্থিতির ওপর ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷ কংগ্রেস-তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরাও এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা উপর নজর রাখছে৷ প্রয়োজনে বিশেষ গণ-আন্দোলনের হুমকি দিয়ে রেখেছেন বিরোধীরা৷ শেষ মুহূর্তে যাঁদের নাম উঠল না, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − nine =