কলকাতা: অসহিষ্ণুতার আঁচ এবার বাংলায়৷ এতদিন যা উত্তরপ্রদেশে হত, তাই এখন ঘটল খাস কলকাতার বুকে৷ জয় শ্রী রাম ধ্বনি না দেওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধর ও পরে চলন্ত ট্রেন ঠেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ৷ তবে, ট্রেনের গতি কম থাকায় এযাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি৷ গোটা ঘটনার দায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে চাপিয়ে বালিগঞ্জ জিআরপি ও তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত শিক্ষক৷ এবার পার্ক সার্কাসে চলন্ত ট্রেনে আক্রান্ত মাদ্রাসা শিক্ষককের পাশে দাঁড়ালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বুধবার আক্রান্ত মাদ্রসা শিক্ষককে ফোন করে তাঁর শারীরক অবস্থার খোঁজ নেন উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে আক্রান্ত মাদ্রাসা শিক্ষক-সহ দু’জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে ভাটপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, আগেই ৫৯ জনকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে৷ আরও ২৫০ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে বসাইকে সমান ক্ষতিপূরণ হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন দেখবে কোন পরিবারের কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ভিত্তিতে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া ও জগদ্দলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারিত হবে৷
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে৷ ক্যানিং লোকাল ধরে শিয়াদহে যাচ্ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক৷ পার্ক সার্কাসে ট্রেন ঢোকার আগে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য ওই শিক্ষককে ঘিরে ধরে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে বলে৷ অভিযোগ, জয় শ্রী রাম ধ্বনি না দেওয়ায় ওই শিক্ষককে মারধর করা হয়৷ শিক্ষককে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ কিন্তু, ট্রেনের গতি কম থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হন তিনি৷ চোখে-মুখে আঘাত লাগে তাঁর৷ এই ঘটনার পর তপসিয়া থানায় ও বালিগঞ্জ জিআরপিতেও অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক৷