আজ বিকেল: রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সমানভাবে কাজে লাগালো না নির্বাচন কমিশন। প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী। অনেক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো জগন্নাথ হিসেবে বসিয়ে রাখার অভিযোগ আনল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ।
প্রথম দফা ভোটের পর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানান, এদিন ৫০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। উত্তরবঙ্গের রহতপুর হাইমাদ্রাসায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা ছিল৷ অথচ আজ ভোটে তাদের লাগানো হয়নি৷ বুথে বুথে ভোটারদের হুমকি চলল অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ধারেকাছে দেখা গেল না। প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের বিষয়ে কমিশনের সদিচ্ছার অভাব বেশ স্পষ্ট। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় অনেক জায়গাতেই অবাধে ছাপ্পা চলেছে, তা আটকাতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন ভোটকর্মীরা।
এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমরা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আছে দাবি রাখছি, পশ্চিমবঙ্গে বাকি পর্বের ভোটগুলিতে যদি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ ভোট কর্মী ও ভোটারদের সুনিশ্চিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলব আমরা। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে পরবর্তী ভোটগুলিতে ভোটকর্মীরা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব বয়কট করতে বাধ্য হবেন। তাই প্রতিটি জেলায় আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। আমরা ভোট কর্মী হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেন নিরাপত্তাহীনতার কারণে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারব না। আমরা যে দাবিগুলি করছি সেগুলি কোনটাই অসাংবিধানিক নয়। সংবিধানের দায়িত্ব ও নিরাপত্তা দুটোই আমরা মেনে চলতে চাই৷’’