কলকাতা: নারদ মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা৷ তাঁকে জেরার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের মধ্যে একমাত্র মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কিছু ‘নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ ইতিমধ্যেই তা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে তদন্তকারী আধিকারিক সূত্রে খবর৷ এখন দিল্লি থেকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে সিবিআই৷
মুকুল রায় অবশ্য বরাবর দাবি করেছেন, তিনি কোনও টাকার লেনদেনে যুক্ত ছিলেন না৷ নারদ ভিডিও প্রথম প্রকাশ্যে আসার সময় মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূলে৷ এখন তিনি বিজেপিতে৷ সম্প্রতি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতা বৈঠকে একই মঞ্চে বক্তৃতা করেছিলেন মুকুল রায়৷
ইতিমধ্যেই নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করে আমেদাবাদে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে সিবিআই৷ নারদের ভিডিও ও কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তার সঙ্গে তাঁদের নতুন করে নেওয়া কন্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷ চূড়ান্ত চার্জশিটের আগে ওই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তদন্তকারীরা৷
এই মামলায় তৃণমূল নেতা ইকবাল আহমেদের কণ্ঠস্বর মিলানো যায়নি৷ তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে কণ্ঠস্বর অনেকটা বসে দিয়েছে৷ মুকুল রায় ও ফিরাদ হাকিমকে ভিডিওতে সরাসরি টাকা নিতে দেখা যায়নি! তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলানো হচ্ছে না৷ তবে, মির্জার গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, এরপর কার পালা? তবে সিবিআই সূত্রের খবর, এই ধরনের মামলায় অভিযুক্তদের কেউ তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন, এমন অভিযোগ না থাকলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না৷ তবে শুধু দুর্নীতি দমন আইনে সিবিআই চার্জশিট দিলে অভিযুক্তদের আদালতে গিয়ে জামিন নিতে হবে৷
অন্যদিকে, এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত চালাচ্ছে৷ সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পরে দেখা হবে, কী ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে৷ তার ওপর ভিত্তি করে সংগতিহীন আয়, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনে চার্জশিট দিতে পারে ইডি৷